ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

সুধীর বরণ মাঝি
🕐 ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২৪, ২০২০

উদ্দীপক : রিমির বাবা চাকরির উদ্দেশে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। চাকরিরত অবস্থায় সেখানে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করলে দেশে ফিরে আসেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর ছয় মাস পর তার মাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ‘নির্মল হাসি’ নামক উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় চিকিৎসা শুরু করলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে এইডস রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেন।

বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারটি এখন বহুমুখী সমস্যা মোকাবেলা করছে। এ সমস্যা প্রতিরোধে ‘নির্মল হাসি’ রিমির পরিবারের পাশে দাঁড়ায়।
ক) এইচআইভি কী? খ) এইডস রোগ ছড়ানোর একটি উপায় ব্যাখ্যা কর। গ) ডাক্তার কীভাবে নিশ্চিত হলেন, রিমির মা এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ঘ) রিমির পরিবারের সমস্যা মোকাবেলায় নির্মল
হাসি সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্লেষণ কর।
ক) উত্তর : এইচআইভি হলো অতি ক্ষুদ্র এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিভাইরাস। এ ভাইরাসের পুরো নাম হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়ান্সি ভাইরাস।
খ) উত্তর : এইডস একটি ধ্বংসাত্মক ব্যাধি। এইচআইভি সংক্রমণের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির দেহে এটি প্রবেশ করে। এইচআইভি ছড়ানোর নানা উপায় থাকলেও এর অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে যৌন মিলন।
গ) উত্তর : রিমির বাবা চাকরির উদ্দেশে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। চাকরিরত অবস্থায় সেখানে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করলে দেশে ফিরে আসেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। পিতার
মৃত্যুর ছয় মাস পর তার মাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ‘নির্মল হাসি’ নামক উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় চিকিৎসা শুরু করলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে এইডস রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেন। ডাক্তার তার রক্ত পরীক্ষা করে সেখানে এইচআইভি ভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েই নিশ্চিত হলেন রিমির মা এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তা ছাড়া রিমির বাবাও হয়তো এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করেছেন। আর এ ক্ষেত্রে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে ফিরেছিলেন।
এ থেকে রিমির মা সম্পর্কে এটাও নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি তার স্বামী অর্থাৎ রিমির বাবার সঙ্গে যৌন মিলনে এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে এইডস রোগে ভুগছেন।
ঘ) উত্তর : রিমির বাবা চাকরির উদ্দেশে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। চাকরিরত অবস্থায় সেখানে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করলে দেশে ফিরে আসেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর ছয় মাস পর তার মাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ‘নির্মল হাসি’ নামক উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় চিকিৎসা শুরু করলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে এইডস রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করলে পরিবারটি বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত হয়।
এ সমস্যা প্রতিরোধে ‘নির্মল হাসি’ রিমির পরিবারের পাশে দাঁড়ায় এবং নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে- ১। সামাজিক এবং মানসিক সমর্থনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ২। রোগীর জ্বর বা ডায়রিয়া দেখা দিলে তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। ৩। রোগীর নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থাসহ পরিবারকে যথাসম্ভব আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। ৪। রোগীর প্রতি সমাজের অন্যদের সামাজিক এবং মানসিক সমর্থন আদায় করছে। ৫। রোগীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে রোগীর মনকে প্রফুল্ল রাখছে। ৬। অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ইত্যাদি।

সুধীর বরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় চাঁদপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper