ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ১০ আক্রান্ত ৬৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি
🕐 ৮:০৮ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২০

কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ চিকিৎসকসহ ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা জেলায় এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫২৬ জনে। জেলায় আরও দুই জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। এছাড়াও জেলার বুড়িচংয়ে করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিল্লাল হোসেন নামে এক গ্রাম্য চিকিৎসক। সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান শনিবার (২৩ মে) বিকালে এসব তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন বলেন, ‘নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন- কুমিল্লা মহানগরীর শাসনগাছা ও মহিলা কলেজ গেটে তিন জন, আদর্শ সদরে দুই জন, নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আট চিকিৎসক ও ছয় স্টাফসহ ২৫ জন, মুরাদনগরে ১৪ জন, সদর দক্ষিণে ছয় জন, লাকসামে সাত জন, বুড়িচংয়ে একজন ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চার জন। এছাড়াও জেলার মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণপাড়ায় মারা গেছেন দুই জন।’

সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলা থেকে মোট ছয় হাজার ৫৫৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট পাওয়া গেছে ছয় হাজার ২৪ জনের। এতে মোট ৫২৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৮ জন।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যাওয়া ব্রাহ্মণপাড়া দেলোয়ার হোসেন ও শামসুন্নাহারের করোনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়াও হাসপাতালের গাইনি ও কার্ডিওলজি বিভাগের দুই চিকিৎসকসহ হাসপাতালের একজন নারী প্যাথলজিস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের আইশোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামিয়া সাইফুল জানান, এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আক্রান্তদের আইশোলেশনে পাঠানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জরুইন গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মো. বিল্লাল হোসেন করোনার উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। এলাকায় তিনি ‘গরিবের চিকিৎসক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি বুড়িচং সদর ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ছিলেন।

বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু জানান, ওই পল্লী চিকিৎসক কয়েক দিন যাবৎ সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানেই শরিবার মারা যান তিনি। তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

 
Electronic Paper