‘দেশপ্রেম থাকলে ম্যাচ পাতানো সম্ভব না’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০২০
ক্রিকেটে জুয়াড়ি শব্দটা বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে। এই একটি কারণে বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটারের কপালে জুটে শাস্তি, আশরাফুল ও সাকিব। কিন্তু যারা ম্যাচ পাতাচ্ছে তারা থেকে যাচ্ছে পর্দার আড়ালে। যদিও ভারত ক্রিকেট জুয়াড়ি আগারওয়ালকে নিষিদ্ধ করেছে।
এরপরও ম্যাচ জুয়াড়িরা যে সুযোগের অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আইসিসি ও দুর্নীতি কমিশনও এ ব্যাপারে বেশ তৎপর। আধুনিক ভঙ্গিমায় তারও জাল দিয়ে রেখেছে সর্বত্রে। এরপরও শোনা যাচ্ছে সেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ে থাকার সংবাদ। এই তো কিছুদিন আগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কারণে শাস্তির খড়গ পড়ছে আফগানিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ শফিকের ওপর। ছয় বছর নিষিদ্ধ হন তিনি।
সম্প্রতি সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজার সাক্ষাৎকারে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকের কাছে ম্যাচ পাতানো প্রসঙ্গে তার অভিমত জানতে চাওয়া হয়। এ নিয়ে তামিমের দেয়া বক্তব্যগুলো দৈনিক খোলা কাগজের পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-
‘খেলা ও দেশের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে ম্যাচ পাতানোর মতো কাজ কারও পক্ষে করা সম্ভব না। আমি মনে করি আইসিসি যথেষ্ট করছে। আইসিসি সবাইকেই শেখাচ্ছে। আমরা সবাই জানি, প্রতিটি সিরিজ আমরা খেলছি, আমাদের এই ব্যাপারে শিক্ষা দেয় আইসিসি ও দুর্নীতি দমন ইউনিট।
সুতরাং ক্রিকেটারদের জানা উচিত কী করা উচিত আর কী করা উচিত না। এর পরও যদি কেউ যদি জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তাহলে বিষয়টা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। যদি সে ক্রিকেট ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে, খেলাটার প্রতি আবেগ কাজ করে, তাহলে আমার মনে হয় না কেউই এই কাজ করবে।’
জুয়াড়িদের নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমরা সবাই জানি আমাদের চারপাশে এই রকম মানুষ আছে। ওরা যেভাবেই হোক ফাঁদে ফেলতে চাইবে। তবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
আপনাকে বুঝতে হবে আপনি আপনার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এক নম্বর ব্যাপার হলো, আপনি খেলা শুরু করেছেন কিন্তু খেলাটা পছন্দ করেন বলে। আর্থিক দিকটা আসে পরের দিকে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের তো পরিবারের দেখাশোনা করতে হয়। তবে প্রথমবার যখন ব্যাট ধরি তখন টাকার কথা ভেবে ব্যাট ধরিনি। ব্যাট ধরেছি খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে। কোনো অনৈতিক কাজ করার আগে এটা মাথায় রাখতেই হবে।’