খাগড়াছড়িতে অনলাইনে চলছে পাঠদান
স্বস্তিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
নুরুল আজম, খাগড়াছড়ি
🕐 ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২০
করোনা সংক্রমণে কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল ও কলেজ বন্ধের সময় যাতে শিক্ষার্থীরা পড়া লেখায় পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য অনলাইন পাঠদান শুরু করেছে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
এছাড়া জেলার চার শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংসদ টিভির মাধ্যমে ঠিকমতো পাঠদান গ্রহণ করছে কিনা তা তদারকি করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংসদ টিভির দূর শিক্ষণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের তাগিদ দিলেন জনপ্রতিনিধিরা।
করোনা কারণে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ করছে সরকার। সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে ছুটির মেয়াদ। অঘোষিত লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পার করছে অলস সময়।
স্কুল ও কলেজ বন্ধের সময় শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেই লক্ষে অনলাইনে পাঠদান শুরু করেছে জেলার অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠ খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাঠদান ও গ্রুপ ডিসকাশনসহ সবই চলছে অনলাইনে। ফলে যথাসময়ে সিলেবাস শেষ করার কথা বলছে শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে জেলার সব প্রাথমিক অনলাইনে কার্যক্রম শুরু তাগিদ দিয়েছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী মিজবাহুল আজম ফয়সাল জানায়, এমন পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে শিক্ষকেরা অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছেন। এতে আমরা ঘরে বসেই পড়াশোনা করতে পারছি। ঘরে বসেই পড়াশোনা চালাতে পারছি। এতে ঠিক সময়ে আমাদের সিলেবাসও শেষ হবে।
জেলা শহরে একাধিক শিক্ষক বলছেন ছুটির মধ্যেও যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল থাকে এ কারণে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, গুগল ক্লাস রুম, জুম অ্যাপ, ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ লে. কর্নেল কামরুজ্জামান জানান, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে করোনাকালীন বন্ধে পিছিয়ে না পড়ে সেই লক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। আমাদের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে, তাদের পড়াশোনা দেখাশুনা করছে। আশা করি বন্ধেও সময় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকবে না। ’
জেলার ৪ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংসদ টিভির মাধ্যমে পাঠদান গ্রহণ করছে কিনা তা তদারকি করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কিনা তা তদারকি করছে। যতদিন স্কুল বন্ধ থাকবে ততদিন এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। ’