নীলফামারীতে বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া, বিদ্যুৎ বিপর্যয়
নীলফামারী প্রতিনিধি
🕐 ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২২, ২০২০
প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব পড়েছে নীলফামারী জেলাজুড়ে। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সারা দিন জেলাজুড়ে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর হালকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। ঝড়ে নীলফামারীতে তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও বিপর্যয় ঘটেছে বিদ্যুতের। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। ১৯ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টার দিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি বাতাসে ৩৩ কেভি সংযোগের একটি খুঁটি উপড়ে পড়ায় এ বিপর্যয় ঘটে।
দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে জেলা সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক। এ সময়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতায় বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ারে দেখা দেয় ত্রুটি। ফলে ভেঙে পড়ে মুঠো ফোনে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
পাশপাশি বিঘ্ন ঘটে বিদ্যুৎনির্ভর সব কার্যক্রমে। জেলা শহরের শাহিপাড়ার বাসিন্দা ওয়াহেদ আলী তুফান আলম বলেন, আম্পানের প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত ছিল নীলফামারী জেলা। বৃষ্টি আর সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালার ডাল ভেঙে পড়েছে। কিন্তু সামান্য এ দুর্যোগে বিদ্যুতের বড় ধরনের বিভ্রাটে নাজেহাল হয়ে পড়ে জেলার মানুষ।
নীলফামারী নেসকো বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র সূত্রমতে, বুধবার রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলেও শহরের একটি অংশে রাত দুইটা পর্যন্ত সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার দিকে জেলা সদরের দাড়োয়ানী শেখ মসজিদ এলাকায় ৩৩ কেভি সংযোগের একটি খুঁটি উপড়ে পড়লে সরবরাহ বন্ধ হয়।
পিডিবির আওতাধীন নীলফামারী নেসকো বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী নওশাদ আলম বলেন, ঝড়ের কারণে বুধবার রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। এরপরও শহরের একটি অংশে রাত ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। এ অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে ৩৩ কেভি সরবরাহ লাইনের একটি খুঁটি উপড়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার মধ্যে সেটি মেরামত করে লাইনের ওপর পড়া গাছের ডাল অপসারণ করা হয়। এরই মধ্যে সাব স্টেশনের পাওয়ার ট্রান্সফরমারে ত্রুটি ধরা পড়ে। সেটি মেরামত শেষে বিকাল ৫টার দিকে পর্যায়ক্রমে লাইনগুলো চালু করা হয়।