ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনার মাঝে ডেঙ্গুর ভয়

সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর
🕐 ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২০

করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ফরিদপুরে ৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসে এখনও এ অঞ্চলে মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে করোনার মাঝে নতুন করে ভয় সৃষ্টি করেছে ডেঙ্গু। গত বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় চার হাজারেরও বেশি মানুষ মশাবাহিত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল।

ফরিদপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার আয়তন ছিল ১৭.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু এখন পরিধি বেড়ে ২৯টি ওয়ার্ড হয়েছে। যার আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫৪ বর্গ কিলোমিটার। বিশাল এ এলাকার জন্য রয়েছে চারটি ফগার মেশিন। যার দুটিই আবার বিকল। যদিও দুই একদিনের মধ্যে বাকি দুটি মেশিন ঠিক হবে বলে পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে।

সরেজমিন ফরিদপুর শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সড়কের পাশে ড্রেন ও ডোবাসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানিতে মশা বংশবিস্তার করছে। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় দুই তিনদিনের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেও মশার বংশবিস্তার ঘটছে। এসব স্থানে তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা।

কমলাপুর এলাকার গৌতম জানান, পৌরসভার প্রস্তুতি তেমন দেখতে পাচ্ছি না। সামনেই ডেঙ্গু আক্রমণ আসতে চলেছে। একইসঙ্গে করোনা জেঁকে বসেছে ফরিদপুরে। সব মিলিয়ে আমরা খুব ভয়ে আছি। করোনা ও ডেঙ্গুর উপসর্গ প্রায় একই ধরনের। এতে বোঝা মুশকিল কে কি রোগে আক্রান্ত হলো।

তিনি বলেন, পৌরসভার ফগার মেশিন বড় রাস্তা দিয়ে ছিটিয়ে চলে যায়। ছোট ছোট যেসব রাস্তা রয়েছে সেগুলোতে তারা আসে না। এতে মহল্লার মানুষের সমস্যা হতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ড্রেনে জমে থাকা ময়লা পানিতে বংশবিস্তার করা মশার আবাসস্থলে ডেঙ্গু লার্ভার মাত্রা পরিমাপের কোনো তৎপরতাও দেখা যায় না।

পলাশ নামে এক ব্যক্তি বলেন, সম্প্রতি শহরে ড্রেন সংস্কারের কাজ হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়াগায় সেটা পুরোপুরি শেষ হয়নি। এতে ড্রেনের ময়লা আবর্জনাযুক্ত উন্মুক্ত পানিতে গিজগিজ করছে মশা। এসব মশার উপদ্রবে তারা অতিষ্ঠ। ড্রেনের ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি পরিস্কার করা হয় না। সেখানে মশা বংশবিস্তার করছে। ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়েছে। এখন জনমনে ডেঙ্গু নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে মশার উপদ্রবে।

ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু অবশ্য মশার উপদ্রবের কাথা স্বীকার করলেও মশা নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বড় বড় ড্রেন ও ছোট ছোট ড্রেনে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এছাড়া হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে সকল জায়গায় মশা নিধনে কাজ করছি আমরা। ডিম নিধন ও বাড়িতে মশার লার্ভা নিধনে কাজ করছে আলদাভাবে পৌর টিম। এছাড়া চারটি ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছেটানোর কাজ চলছে। এর ভিতর দুটি নষ্ট। তবে দ্রুত মেশিন দুটি ঠিক করা হবে।

 
Electronic Paper