ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পেশাদারিত্বের সাথে সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্য নিশ্চিত: নসরুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:০৫ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পেশাদারিত্বের সাথে সমন্বিত উদ্যোগে এগুলে যে কোন কাজে সাফল্য নিশ্চিত। তিনি বলেন, “সুশাসনের প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গীকার দায়বদ্ধ থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা আবার প্রমাণ করলো। তাঁর সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করেছে।”

প্রতিমন্ত্রী শনিবার রাতে তাঁর বাসভবন থেকে অনলাইনে ডাকসু ল এন্ড পলিটিক্স রিভিউ আয়োজিত ‘নাইকো আর্বিট্রেশন ২০২০-রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাস এবং ভবিষ্যৎ ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রামাণিক তথ্যসহ একাগ্রচিত্তে কাজ করলে অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করা যায়। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সালিশি আদালতে (ইকসিড) প্রমাণ করা গেছে যে, ছাতক গ্যাসক্ষেত্র বিস্ফোরণের জন্য নাইকোই দায়ী।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে গ্যাস ফিল্ড ও বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে যদি দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পেতাম তবে তা আমাদের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখতে পারতো। এটা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি।

উল্লেখ্য যে, ২০০৩ সালে নাইকো-বাপেক্স যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রটি উন্নয়নের দায়িত্ব পায় নাইকো। ২০০৫ সালে ৭ জানুয়ারি ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে নাইকো খনন কার্যক্রম পরিচালনার সময় বিস্ফোরণ ঘটে যা ঐ গ্যাস ক্ষেত্র ও তার সন্নিহিত এলাকার পরিবেশ ও জনজীবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

নাইকো ২০১০ সালে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের জন্য তারা দায়ী নয় মর্মে ঘোষণা চেয়ে এবং গ্যাস বিক্রয়ের অর্থ দাবি করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সালিশি আদালতে (ইকসিড) দুটি সালিশি মোকাদ্দমা দায়ের করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দশ বছরের সুদীর্ঘ জটিল আইনী প্রক্রিয়া শেষে ইকসিড ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের বিস্ফোরণের জন্য যৌথ উদ্যোগ চুক্তির অধীন শর্তসমূহ ভঙ্গের জন্য নাইকোকে দায়ী ও তাদের অভিযুক্ত করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যুগান্তকারী রায় প্রদান করে। নাইকো দক্ষতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায়, যৌথ বিনিয়োগ চুক্তির শর্ত না মানায় এবং পেট্টোলিয়াম শিল্পের আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে বলে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল রায় প্রদান করে।

নসরুল হামিদ বলেন,সরকার বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ বাপেক্সের জন্য ১১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও বাংলাদেশের জন্য ৮৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নাইকোর কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইকসিড-এ দাবি উত্থাপন করে। রায়ে নাইকোর কাছ থেকে প্রত্যক্ষ ক্ষতিপূরণ ছাড়াও জনসাধারণের পুনর্বাসন, বিস্ফোরণের ফলে জনসাধারণের স্বাস্থ্যহানি, ভূমির ক্ষতিসহ পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইকসিড-এ দাবি উত্থাপন করার নির্দেশনা রয়েছে।

ডাকসু ল এন্ড পলিটিক্স রিভিউ–এর প্রধান সম্পাদক মোঃ আজহার উদ্দিন ভূঁইয়া ও ডাকসুর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিন অনির পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন নাইকো আর্বিট্রেশন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈন গণি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রুমানা ইসলাম।

 

 
Electronic Paper