উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন জানান, উপজেলাতে তেমন একটা লিচু উৎপাদন হয়না। তবে এখন দিন দিন লিচুর গাছ বাড়ছে। মুকুল ধরা থেকে ফল আসা ও ফল উঠা পর্যন্ত সব ধরনের পরিচর্যা কাজে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করবেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার আমের পাশাপাশি লিচুর ভালো ফলন হবে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো পাওয়ার আশা স্থানীয় বাগান চাষিদের। খড়া মৌসুমে বৃষ্টিপাত দেখা না দেওয়ায় সেচের মাধ্যমে লিচু-আম গাছের গোড়ায় পানি সরবরাহ করছেন তারা। কোনো ধরনের ছত্রাক বা রোগে আক্রান্ত না হয় এজন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিচ্ছেন স্থানীয় চাষিরা। আগামীতে ফলন উঠা পর্যন্ত গাছ ও ফলের পরিচর্যা কাজ চালিয়ে যাবেন তারা।
ভবানীপুর গ্রামের লিচু চাষি খন্দকার বাবু জানান, পোকা মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ-বালাই থেকে গাছ ও লিচুর গুটিকে মুক্ত রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে বালাইনাশক। গত দুই সপ্তাহের বৃষ্টিপাতের কারণে ঠিক মতো বালাইনাশক দেওয়া সম্ভব হয়নি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক দেওয়া হচ্ছে।