পার্বতীপুরে ঈদ বাজার, মানছে না সামাজিক দূরত্ব
আব্দুল্লাহ আল-মামুন, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)
🕐 ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০
ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরের পার্বতীপুর শহরের বস্ত্রবিতান, কসমেটিকস ও জুতাসহ বিভিন্ন দোকানে ভিড় শুরু হয়েছে।
দেশব্যাপী করোনা প্রভাবে গত কয়েকদিন আগেও যেখানে পার্বতীপুরের এসব বাজারে ও দোকানে ছিল সুনসান নিরবতা, সেখানে বর্তমান চিত্র এর সম্পূর্ণ বিপরীত। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেশব্যাপী দিন দিন উদ্বিগ্ন হারে বাড়লেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি এখানকার জনমনে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা ও এর প্রভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন পার্বতীপুরের ঈদের বাজার করতে আসা মানুষেরা।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শহরের নতুন বাজারের কাপড় পট্টি, চুড়ি পট্টি, প্রেস ক্লাব সড়ক, শহীদ মিনার সড়ক ঘুরে দেখা যায়, এসব স্থানে প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগত ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা ও কোনো প্রকার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস ছাড়াই যত্রতত্র দল বেঁধে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে কেনা কাটার জন্য ভিড় করছে। এমন পরিস্থিতিতে শহরের প্রতিটি সড়কে মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান এমনকি সামাজিক দূরত্ব মেনে মানুষজনের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িছে।
করোনা সংকটের শুরু থেকে স্বল্প পরিসরে সীমিত সময়ের জন্য বাজার খোলা থাকলেও ১০ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখার নিদের্শনা জারির পর পার্বতীপুর শহরের বিভিন্ন দোকানপাটে ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণহীন জন স্রোত দেখা যাচ্ছে। এতে পার্বতীপুরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গৃহিনী শামীমা আক্তার তার শাশুড়ি, ভাই ও ছেলেকে নিয়ে বাজারে এসেছিলেন। তবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ দূরত্ব অমান্য ও মাস্ক ব্যবহার না করার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বাজারের বিরাজমান অবস্থার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে শুধু ক্রেতা-বিক্রেতা নয় আমাদের সবার জন্য ভয়াবহ হবে।
পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, বাজারের নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শাহনাজ মিথুন মুন্নী বলেন, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।