ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোলায় করোনাজয়ী বাবা-মেয়ের গল্প

ছোটন সাহা, ভোলা
🕐 ১:০৯ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২০

ভোলা শহরের এক পরিবারের বাবা-মেয়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ ঘরে থেকেই ১৩ দিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

তাদের সুস্থ হওয়ার পেছনে নিজেদের প্রচেষ্টার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগও ছিল তৎপর। আর তাই অল্প সময়ের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেন তারা। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় পাঁচজন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনা রোগিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। বিশেষ করে শহরের বাবা-মেয়ে রোগিকেও সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে সকল পরামর্শ দিয়েছি। চিকিৎসা দিয়েছি এবং সুস্থ হওয়ার পর শুভেচ্ছাও জানিয়েছি।

তিনি বলেন, সবাইকে ঘরে থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে একই সঙ্গে জনসমাগম থেকেও দূরে থাকতে হবে।

বাবা-মেয়ের করোনা জয়ের এমন ঘটনা অনেকেই মনেই সাহস যোগানোর পাশাপাশি সংক্রামন রোধে প্রতিবেশীরাও হয়ে উঠেছেন সচেতন।

করোনা আক্রান্তের পর নিজেদেরকে স্বাভাবিক আর সুস্থ করে তুলতেই নিজ বাড়িতে আলাদা রুমে ১৩ দিন কাটিয়েছেন তারা। করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে হবে এমনই মনোবল ছিল তাদের। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার, গরম পানি খাওয়া ও মশলা মিশিয়ে ভাব নেয়া, প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ নানা উপায়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা।

শহরের বিএভিএস রোডের ব্যবসায়ী মুজাহিদুর রহমান ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শানজিদা খানম মিমের করোনা জয়ের গল্পটা ছিল এমনই। ভয় না পেয়ে বাড়িতে থেকেই করেনা জয় করে তারা এখন সর্বমহলে বেশ প্রশংসিত।

করোনাজয়ী মুজাহিদুর রহমান বলেন, যেদিন আমাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে তখন থেকেই মনোবল হারাইনি, আমরা আলাদা ঘরে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। ডাক্তারের পরামর্শ এবং করণীয় যা ছিল যেমন, গরম পানিতে ভাব নেয়া, মাঝে মধ্যে নেবুলাইজার ব্যবহার করা, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও ফলমূল খাওয়া অর্থাৎ রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন সব খাবার নিয়মতান্ত্রিনভাবে খেয়েছি। এতে ১৩ দিনেই সুস্থ হয়েছি।
নিজের প্রচেষ্টার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের দিকনির্দেশনা এবং এলাকাবাসীও তাদের সহযোগিতা করেছে বলে জানান।

এদিকে করোনা সংক্রামন রোধে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্চাসেবী সংগঠনগুলো সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মাঠে কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট, স্কাউটস, বিয়ে বাজার, কোস্টাল ভোলা, চিলেকোঠা, হৃদয়ে ভোলা, হেল্প এন্ড কেয়ার ও ইয়ুথ নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সংগঠন।

 

 

 
Electronic Paper