ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুঃসময়ে মানবপ্রেমীদের তৎপরতা

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
🕐 ৭:০৮ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২০

মানবপ্রেমীরা এগিয়ে এসেছেন। নিজেরা যেমন দুস্থদের সাহায্য করছেন, ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টাও করছেন। কর্মহীন মানুষদের ঘরে রান্না করা খাবার, নিত্যপণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। যেন একজন মানুষও অভুক্ত না থাকে। অসহায়ের জন্য এই আন্তরিক প্রচেষ্টা আবারও প্রমাণ করল, মানুষ মানুষের জন্য। ব্যক্তিগত লাভ ছাড়া কল্যাণকর কিছু তৎপরতার খবর জানাচ্ছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মানুষের পাশে বিকন বাংলাদেশ
যাদের কথা একদমই কেউ ভাবে না মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিকন বাংলাদেশ। বলছিলাম পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বিধবা, প্রান্তিক খামারিদের কথা। মানুষের অবহেলা, অনাদরে অত্যন্ত অমানবিকভাবে এসব মানুষদের জীবন কাটে। করোনার এই দুর্যোগে তাদের খেয়েপরে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বিকন বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা এই মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বেচ্ছাসেবীরা খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ থেকে মানিকগঞ্জ, গ্রাম থেকে শহর এমনকি দুর্গম চরে।
৮টি বিভাগের ৪৫টি স্থানে ১২ হাজার ৫০০ মানুষকে সরাসরি এবং ২৭,৫০০ মানুষকে আংশিকভাবে অর্থায়ন করেছে বিকন বাংলাদেশ। ভলান্টিয়ার গ্রুপের হাত হয়ে পৌঁছে গিয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি খাবারের প্যাকেট।
‘পথপ্রাণীদের আহার সেবা’ উদ্যোগ নেওয়া মা-মেয়ের মাধ্যমে বিকন বাংলাদেশ রাস্তার প্রাণীদের কাছেও উপস্থিত হয়েছে। বিকন বাংলাদেশ ফান্ড করছে একদল তরুণ উদ্ভাবকদের। ফলে তারা তাদের নিত্ত নতুন উদ্ভাবনী শক্তি, কৌশল কাজে লাগাতে পারছে। ভলান্টিয়ার গ্রুপগুলোর কাজের সমন্বয় এবং ট্রান্সপারেন্সি বজায় রাখতে প্রাজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন দীপ্ত সাহা, সালেহ রোকন, নাদিয়া আফরিন, মায়িশা আহমেদ নন্দিতা। ক্রিয়েটিভ লিড হিসেবে রয়েছেন ফারাহ খন্দকার। গত মার্চের ২৫ তারিখে যাত্রা শুরু করে বিকন বাংলাদেশ।

আলেম সমাজের উদ্যোগ
জীবিকা সংকীর্ণ হয়ে আসা অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন আলেম সমাজ। বাংলাদেশে বক্তাদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্র্ম রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশের ৬৪ জেলাকে আটটি জোনে ভাগ করে প্রতি জেলার গ্রহণযোগ্য জিম্মাদার আলেমের মাধ্যমে ৬৪ জেলার প্রায় ১২শ’ আলেম পরিবারের কাছে খাদ্যপণ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি অসচ্ছল মাদ্রাসা শিক্ষক ও গরিবদের সহায়তা করা হয়েছে বলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মুফতি আমির ইবনে আহমাদ জানান। এছাড়া তিনজনের বিশেষ কমিটি গঠন করে রাতের আঁধারে ৮৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

গর্ভবতীদের পাশে আরিফা জাহান
অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তিদের জন্যই শুধু নয়, গর্ভবতীদের জন্যও এগিয়ে এসেছেন আরিফা জাহান। তিনি রংপুর নগরীর নূরপুর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলামের মেয়ে। সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রংপুর ওমেনস ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক। একটি মাত্র ফোনকলেই পৌঁছে যাবে গর্ভবতীদের ঘরে খাবার। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, তেল, চিনি, ছোলা, লবণ, সবজি, আলু, আটা, নুডলস, বিস্কুট, সাবান, কাপড় কাচার পাউডারসহ আরও বেশ কিছু গর্ভবতী ও শিশুদের পুষ্টিকর খাবার। আরিফা জাহান বলেন, ‘দেশের এই সংকটময় সময়ে নিজ উদ্যোগে সবাইকে সহায়তা করার চিন্তা করি। এরপর কাজ শুরু করি। এর আগে অসহায় ও দুস্থ ২৮০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। ফোন এলে সেই জায়গায় গিয়ে খাবার দিয়ে আসতাম। এবার আমি গর্ভবতীদের খাদ্যসহায়তা দিচ্ছি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ জন গর্ভবতীকে সহায়তা করেছি।’

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন শুধু শহর এলাকা নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কাজ করে। মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয় সংগঠনটি। খোঁজ রাখছে বিভিন্ন প্রাণীরও। শহরের ফুটপাত ও বস্তির এমন ভাসমান, অসহায় নিম্ন আয়ের ২০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন সেহরি ও ইফতারে রান্না করা খাবার দিচ্ছে। শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রামে নয়, ভোলার চর, কুড়িগ্রামের অজ পাড়াগাঁ, সিলেটের বঞ্চিত চা শ্রমিকদের ঘরে, এমনকি পাহাড়ের গহিনে নিরন্ন মানুষের কাছে বেঁচে থাকার মতো খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিদিন। বিপন্ন মানুষের পাশে এমন আলোর দিশারি হয়ে উঠেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো, গ্রামের ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত কৃষকদের কাছ থেকে সবজি ও ফলমূল কিনে শহরের অসহায় মানুষদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ, কর্মহীন মানুষকে স্বাবলম্বী করাসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বিদ্যানন্দ।

পুলিশ সদস্য বাহাউদ্দিনের সাহসিকতা
একাই ৮০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। জীবনের মায়া তুচ্ছ করে সহকর্মীদের সেবা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এই মানুষটির নাম বাহাউদ্দিন। তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্য। করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম-উত্তর) বিভাগের এই মেডিকেল সহকারী রাত-দিন করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে আনা-নেওয়াসহ সার্বিক দেখভাল করে যাচ্ছেন হাসিমুখে। বাহাউদ্দিন বলেন, প্রথম দিকে খুব ভয় পেতাম আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের কাছে যেতে। কিন্তু দেশের এই চরম সংকটে আর বসে থাকা সম্ভব হয়নি। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা যখন ব্যাপকহারে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তখন তাদের কথা ভেবে মন থেকে সব ভয় দূর হয়ে গেল। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বাবার আদর্শ লালন করেন। পুলিশ সদস্যদের সেবায় মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বাহাউদ্দিন।

আলেম সমাজের উদ্যোগ
জীবিকা সংকীর্ণ হয়ে আসা অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন আলেম সমাজ। বাংলাদেশে বক্তাদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্র্ম রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশের ৬৪ জেলাকে আটটি জোনে ভাগ করে প্রতি জেলার গ্রহণযোগ্য জিম্মাদার আলেমের মাধ্যমে ৬৪ জেলার প্রায় ১২শ’ আলেম পরিবারের কাছে খাদ্যপণ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি অসচ্ছল মাদ্রাসা শিক্ষক ও গরিবদের সহায়তা করা হয়েছে বলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মুফতি আমির ইবনে আহমাদ জানান। এছাড়া তিনজনের বিশেষ কমিটি গঠন করে রাতের আঁধারে ৮৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

নারী উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তার প্রচেষ্টা
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এটা চিকিৎসকদের পরামর্শ। সফল নারী উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তা। তিনিও এ পরামর্শ মেনে চলছিলেন। মাস্ক কিনতে গিয়ে তিনি দেখলেন, একটি মাস্কের দাম ৮০ টাকা। যা হওয়া উচিত ২০ টাকা। বিষয়টা মুক্তাকে ভাবিয়ে তুলল। তিনি ভাবলেন, কীভাবে স্বল্পমূল্যে মাস্ক ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়। তার পোশাক কারখানায় মাস্ক তৈরি শুরু করলেন। অন্য সব কাজ বন্ধ রেখে। দাম রাখলেন ২০ টাকা। এরপর হাসিনা পিপিই বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ডাক্তারদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও জরুরি। একজন ডাক্তার তার কারখানার তৈরি ১০ পিস সুরক্ষা পোশাক/পিপিই ও মাস্ক নিয়েছেন। তিনি পণ্যের মান সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অনেক চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবকরা তার কাছ থেকে মাস্ক, পিপিই নেন বলে জানান। হাসিনার অন্যতম লক্ষ্য ছিল, অল্প মূল্যে মানসম্মত পিপিই, মাস্ক বিক্রি করা। যাতে যারা অতিরিক্ত মূল্য রাখেন তারাও কম দামে বিক্রিতে বাধ্য হন। এই লক্ষ্যে পূরণে অনেকটাই সফল তিনি।

অভুক্তের দুয়ারে নাফিসার গাড়ি
আপনার খাবারের দরকার। বাসার খাবার ফুরিয়ে গেছে। লজ্জায় চাইতে পারছেন না। এই অবস্থায় একটি ফোন কল দিলেই হবে। বাসায় খাবার পৌঁছে যাবে। একজন নারীর মাধ্যমে। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন নাফিসা আনজুম খান। তিনি কখনো বা ভ্যান, কখনো সিএনজিতে খাদ্যপণ্য নিয়ে ছুটছেন। সিএনজির সামনে থাকা ব্যানারে লেখা আছে ‘বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ’। যেখানে নাফিসার পরিচয় হিসেবে আছে ‘একজন বাংলাদেশ’। নিজের জন্মদিন ছিল দিনটি গত ২৭ মার্চ। সে দিন তিনি বাসার আশপাশে আদাবরের কয়েকজন অভুক্তকে খাবারের ব্যবস্থা করেন। ৬ মাস ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন নাফিসা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর ও কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুরের দুটি স্কুল চালু করেন তিনি। যেখানে বস্তিতে থাকা ছিন্নমূল শিশুরা পড়াশোনা করে বিনা খরচে। মাসের একটি শুক্রবার এই শিশুদের নিয়ে দুপুরের খাবার খান তিনি। করোনা আসার পর স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অদম্য এই স্বেচ্ছাসেবীর কার্যক্রমে ভাটা পড়েনি।
এ মুহূর্তে কাজকে আরও সহজ করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকতায় গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা নাফিসা আনজুম। তিনি বলেন, আমার বেতনের টাকায় মানিকগঞ্জে থাকা আমার পরিবার চলে। একার পক্ষে সবকিছু কুলিয়ে ওঠা কষ্ট হচ্ছে। সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা প্রয়োজন এই কাজে।

সহচরীর ত্রাণ তৎপরতা
বরিশালের প্রাক্তন এবং বর্তমান সব শিক্ষার্থী কিংবা বরিশালের কোনো স্কুল, কলেজ থেকে পাস করেছেন। তাদের গ্রুপ সহচরী। অধিকাংশ তরুণ-তরুণী এ গ্রুপের সদস্য। করোনার দুঃসময়ে গ্রুপটি এগিয়ে এসেছে। চাল, ডালসহ নিত্যপণ্য দিয়ে শতাধিক পরিবারকে সাহায্য করেছে। ফান্ড সংগ্রহ করে ধাপে ধাপে তারা খাদ্যপণ্য বণ্টন করে। নিম্নবিত্তের পাশে দাঁড়িয়েছে। সব রকমের স্বচ্ছতা রেখেই এরা কর্মকা- পরিচালনা করে। কত টাকা আয়, কত টাকা কীভাবে ব্যয় হল ফেসবুক পেজে হিসাব দেওয়া হয়। মানবিক তৎপরতা সকলের প্রশংসা পেয়েছে গ্রুপটি। ঘরে বসে না থেকে নিজ উদ্যোগে কাজ করছে সদস্যরা। তাদের দেশের যে কোনো জায়গা থেকে যে কেউ সাহায্য করতে পারবেন। ফারজানা ফেরদৌস : ০১৮৭০৯৫৭৩৭৩, ০১৭০১৭৩৬১২৫, কাজী সূচনা : ০১৭৩৫৮৭৯০৪৬, পূজা সাহা : ০১৬৮৫৬৭৯৭২৩।

কৃষকের পাশে কথন
কথন। ঝিনাইদহের একটি স্বেচ্ছাসেবী সাংস্কৃতিক সংগঠন। সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা একটু ভিন্নভাবে কৃষকদের সাহায্য করছেন। ক্ষেতে পাকা ধান। গ্লুমিক নেই। কৃষকের মাথায় হাত। এই সময়ে কৃষকদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে কথন-এর স্বেচ্ছাসেবীরা। পাশাপাশি মানুষকে মাইকিং করে সচেতন করার চেষ্টা করছে। কখনো বা তারা হাতে ইফতার নিয়ে ছুটছেন আবার কখনো বা মাইক হাতে শহর গ্রামের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন মানুষকে সচেতন করতে। কথনের সভাপতি হাসানুজ্জামান অন্তর বলেন, ‘আসলে কাজটাকে দায়িত্ব ভেবেই করছি। চেষ্টা করছি মানুষের পাশে থাকার। যারা ছাত্র আছেন তাদের উচিত ঘরে বসে না থেকে সামান্য হলেও কৃষককে সাহায্য করা। কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। দেশ বাঁচলে আমরা।’

প্রাণীর পাশে সিরিয়া
মানুষ ক্ষুধা লাগলে খাবার চাইতে পারে। কিন্তু অসহায় কুকুর, বিড়াল সেটা পারে না। করোনার এই দুর্ভোগে প্রাণীদের অবস্থা খুবই খারাপ। কুকুর, বিড়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন একজন। ঝালকাঠির মেয়ে সিরিয়া। মার্চের ২৬ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৩০ পর্যন্ত একদিন পর পর ২৫টি করে মোট ৫০টি কুকুরকে খাবার দিয়েছে। অসুস্থ কুকুরকে তিনি নিজ খরচে চিকিৎসা করান। আদর, মমতা, ভালোবাসা, যতœ দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। সিরিয়া থাকেন টঙ্গী বিসিক হাজী মার্কেট সংলগ্ন এলাকায়। এই এলাকার প্রাণীদের তিনি অতি আপনজন। সিরিয়ার সব কাজে সাহায্য করেন জসীম আকন। গৃহবধূ সিরিয়ার প্রাণীপ্রেম সবার প্রশংসা পেয়েছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper