হাতিয়ায় লিচু চাষে মনিরুলের সফলতা
জিল্লুর রহমান, হাতিয়া
🕐 ১২:৪১ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২০
গ্রীষ্মের ফল লিচু। বৈশাখের খর রোদে লিচু পাকে। এ সময় দক্ষিনা বাতাসের তালে তালে গাছের পাতার ফাঁকে লালচে রংয়ের বড় বড় লিচুর দোল খাওয়ার অপরূপ দৃশ্য। স্বাদে-গন্ধে রসে টুইটুম্বুর। দেখলেই জিভে জল এসে যায়।
এমনি এক লিচু বাগানে ঢুকতেই চোখ জুড়িয়ে গেল। অনেকটা হারিয়ে যেতে বসা দ্বীপ হাতিয়ায় লিচু চাষ করে অর্থনৈতিক সফল্য কিভাবে অর্জন করা সম্ভব তা যিনি করে দেখিয়েছেন এবং তাকে অনুসরণ করে এখন উপজেলার অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন লিচু চাষ করতে।
এতক্ষন যার বাগানের কথা বলছিলাম তিনি হলেন লিচু চাষী মনিরুল আলম। নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড শূন্যরচর গ্রামের মনিরুল আলম তার বাড়ির পাশে ৬০ শতাংশ জায়গা জুড়ে গড়ে তুলেছেন এই লিচু বাগানটি।
একান্ত আলাপে মনিরুল বলেন, অনেকটা সখের বশে চার বছর আগে মাত্র ৪টি গাছ দিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানে অর্ধশতাধিক গাছ রয়েছে যার সব কয়টিতে ফল ধরেছে এবং আরো প্রায় ৮০টি কলমচারা প্রস্তুত করা হয়েছে লাগানোর জন্য। লিচু ছাড়াও তার বাগানে রয়েছে লেবু, মালটা, কমলা, ছফেদা, আম, করমছা, কাঠ লিচুসহ নানা জাতের ফল।
লিচু বাগান থেকে কেমন আয় হয় জানতে চাইলে মনিরুল আলম জানান, গত বছর আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদেরকে দেওয়ার পরও ২ লক্ষ টাকার বেশী লিচু বিক্রি হয়েছে। এবছর ফলন আরো ভালো হয়েছে। আশা করছি গত বছরের চেয়ে বেশী বিক্রি করতে পারবো।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান মাহমুদ বলেন, লিচু বাগানটি আমি পরিদর্শন করেছি এবং অভিভূত হয়েছি। সম্পূর্ন নিজ প্রচেষ্টায় বাগানটিতে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। প্রাকৃতিক ভাবে রোগ বালাই দমন করেন তিনি। যে কারণে ফলন ও খুব ভালো হয়েছে। তার মত সকল উদ্যোক্তার জন্য ভবিষ্যতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে।