পরী : এমন করে বলে না, পরা। মানুষকে ছোট করে কথা বলো কেন?
পরা : ওমা, ও সাইজে ছোট হলে আমি কী করব? টেনে লম্বা করব?
পরী : তোমার লজ্জা করে না, মানুষের নামে বদনাম করতে। কী ভেবেছ, ওর নাম শুনলে গলে যাব? আমাকে তুমি এত নিচু ভাবো?
পরা : কী বলছো এসব? তুমি গলে যাবে কীভাবে? তুমি কি মোম না বরফ?
পরী : একদম কথা ঘোরাবে না। আগে বলো, আমাকে এত নিচু মনের ভাবলে কী করে?
পরা : তোমার কথার জবাব দিয়েই তো সময় পাচ্ছি না। ভাবাভাবির সময় পেলাম কই?
পরী : আমাকে নিচ ভাবোনি? তাহলে ওই ছেলেটার নাম বলতে চাচ্ছ না কেন?
পরা : বিশ্বাস করো, শালার নামই আবুল।
পরী : এত মিথ্যা তুমি বলতে পারো? এত হিংসা তোমার মনে? নিজের ভাব বাড়াতে আরেকজনকে ছোট করো? ও না তোমার ছেলেবেলার বন্ধু? ওকে গালি দিচ্ছ কেন? ছোটবেলার বন্ধুকে যে এভাবে হেয় করতে পারে, দুদিন পর তো সে আমাকেও হেয় করবে আরেকজনের সামনে।
পরা : আশ্চর্য, আমি ওকে হিংসা করব কেন!
পরী : শুধু হিংসাই করো না। এখন তো মনে হচ্ছে তোমার মনে অনেক প্যাঁচ। জিলাপির থাকে আড়াই প্যাঁচ, তোমার মনে কয় প্যাঁচ কে জানে?
পরা : কী, আমার মনে প্যাঁচ? ঠিক আছে, ফোনটা কাটো। শালার পুত আবুলকে ফোন দিয়ে কনফারেন্সে আনছি।
পরী : এভাবে নোংরা ভাষায় চিৎকার করে কথা বলছো কেন? তাছাড়া, তুমি আমাকে অর্ডার করার কে? পরা : চিৎকার করবো না মানে? আবুলের বাচ্চারে আজকে আমি খাইছি।
পরী : ছি ছি ছি কী ভাষা... বলছিলাম না, তুমি ওকে হিংসা করো।
পরা : হুম করি। একশ’ বার করি। ওই শালার জন্য কেন আমাদের কথা কাটাকাটি হবে?
পরী : দেখলে কত বড় মিথ্যাবাদী তুমি? একটু আগে বললে হিংসা করো না। আর এখন? ওকে হিংসা করো মানে আমাকে অবিশ্বাস করো।
পরা : এসব কী বলো? আমারও কিন্তু ধৈর্যের সীমা আছে। কথায় কথায় ঝগড়া করা তোমার স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার আর ভালো লাগছে না।
পরী : কী? আমি কথায় কথায় ঝগড়া করি? ছোটলোক, ইতর, মিন মাইন্ডেড, অভদ্র, মিথ্যাবাদী...
পরা : যেগুলা আমাকে বললা, এগুলার প্রত্যেকটার লেডিস ভার্সন হলে তুমি।
পরী : তু-তু-তু তুই মানুষ না, তুই একটা করোনা।
পরা : কী, আমি করোনা? তাইলে থাক তুই আজীবন লকডাউন হইয়া!