ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয়পত্র

নির্মল ইন্দু সরকার
🕐 ৫:০০ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০

উদ্দীপক : রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ঢাকার চকবাজারের মনু মোল্লাকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। মনু মোল্লা সেটি তার হিসাবে জমা দেন। তবে ১ জানুয়ারি তারিখে ইস্যুকৃত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে জমা দেন।

ক. প্রত্যয়পত্র কী?
খ. লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটি কোন ধরনের? এ চেকের সুবিধা বর্ণনা করো।
ঘ. মনু মোল্লা কীভাবে তার প্রাপ্য টাকা আদায় করতে পারবেন? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : ক. যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রফতানিকারকের অনুকূলে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় তাকে প্রত্যয়নপত্র বলে।
উত্তর : খ. লভ্যাংশ ঘোষণার পর তা ব্যাংক থেকে সংগ্রহের জন্য প্রতিষ্ঠান শেয়ার মালিকদের যে প্রমাণপত্র দেয় তাকে লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলে। লভ্যাংশ ওয়ারেন্টে প্রাপ্ত মোট লভ্যাংশ পরিমাণ উল্লেখ থাকে। এটি ব্যাংকে জমা দিয়ে শেয়ার মালিক অর্থ সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এ ধরনের ওয়ারেন্ট দাগকাটা না হলে যথানিয়মে অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। এর দ্বারা হস্তান্তর গ্রহীতা অর্থ সংগ্রহের অধিকারী হয়।
উত্তর : গ. উদ্দীপকে মনু মোল্লা কর্তৃক প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরিভাগের বাম প্রান্তে কিছু লিখে বা না লিখে দুটি আড়াআড়ি দাগ টেনে দাগকাটা চেক তৈরি করা হয়। এই চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়। সাধারণত বড় অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে এ চেক বেশি ব্যবহার করা হয়। উদ্দীপকে রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি চেক ঢাকার মনু মোল্লাকে দেয়। মনু মোল্লা চেকটি তার হিসাবে জমা দেন। তিনি চেকের অর্থ তার হিসাবের মাধ্যমে গ্রহণ করেন, যা কেবল দাগকাটার চেকের একক বৈশিষ্ট্য। এ ক্ষেত্রে মনু মোল্লা তার প্রাপ্ত চেকের অর্থ উত্তোলনের জন্য দাগকাটা চেকের অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি অনুসরণ করায় বলা যায় তার প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। দাগকাটা চেকের টাকা নগদায়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তি মূলত ব্যাংক কাউন্টার থেকে নগদে অর্থ নিতে পারে না। তা ব্যক্তি হিসেবে জমাদানপূর্বক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয়। তাই বড় ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে দাগকাটা চেক অধিক নিরাপদ।
উত্তর : ঘ. উদ্দীপকের মনু মোল্লার চেকটি বাসি হওয়ায় তার প্রাপ্য টাকা আদায়ে তিনি বাসি চেকের অর্থপ্রাপ্তির পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। প্রস্তুতের তারিখের পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে ওই চেককে বাসি চেক বলা হয়। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস উত্তীর্ণ হলে চেকটি বাসি চেকে পরিণত হয়। উদ্দীপকে রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ঢাকার মনু মোল্লাকে একটি ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক ইস্যু করে। রানু দাস চেকটি জানুয়ারির ১ তারিখে ইস্যু করলেও মনু মোল্লা উক্ত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করে। চেকটি ইস্যু তারিখ থেকে ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই এটি বাসি চেকে রূপান্তরিত হয়েছে। মনু মোল্লা বাসি চেকের অর্থ পেতে তা পুনরায় নবায়ন করে এর অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। মনু মোল্লা রানু দাসের কাছে পুনরায় বাসি চেকটি উপস্থাপন করবেন। এরপর রানু দাস চেকের তারিখ পরিবর্তনের পর ওই স্থানে স্বাক্ষর সংযুক্ত করে চেকটি পুনরায় নবায়ন করবেন। নবায়নকৃত চেকটি ব্যাংকে জমাদানের মাধ্যমে মনু মোল্লা বাসি চেকের অর্থ আদায় করতে পারবেন।

নির্মল ইন্দু সরকার
প্রভাষক, সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper