ঢিলেঢালা লকডাউনে বাড়ছে ঝুঁকি
সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে
হেলাল উদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০
ঈদ সামনে রেখে শর্ত সাপেক্ষে গতকাল রোববার থেকে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় রাজধানীসহ সারাদেশের অধিকাংশ শপিংমল খোলেনি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, দেশে ৩০ লাখ শপিং মল ও দোকান আছে। এরমধ্যে শুধু শপিংমলই আছে ২৫ হাজার। বিবিএস-এর হিসাবে, এসব প্রতিষ্ঠানে মোট কর্মী আছে এক কোটি ২০ লাখ। তাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষেও যদি দোকানপাট খোলা না যায় তাহলে না খেয়ে মরতে হবে। তাই সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য সারাদেশেই অধিকাংশ শপিংমল বন্ধ থাকবে। রাজধানীতে নিউ সুপার মার্কেট ছাড়া সব শপিংমলই বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীসহ প্রায় সব বিভাগেই শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি জানান, সর্বপ্রথম বসুন্ধরা সিটি শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এরপর যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চকসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১টি মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঢাকার বাইরে সিলেট, চট্টগ্রাম কুমিল্লা, খুলনা, রাজশাহীসহ প্রায় সব জেলা শহরে শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হেলাল উদ্দিন বলেন, যারা একেবারেই চলতে পারছেন না, সেসব দোকানদার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখবে। তবে এর সংখ্যা খুব একটা বেশি হবে না।
গত ০৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের দোকান-পাট, শপিংমলগুলো ১০ মে থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এর আগে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল। পরের নির্দেশনায় এক ঘণ্টা কমানো হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।