চবি শিক্ষকের
এসো মানুষের জন্য কিছু করি
রুমান হাফিজ
🕐 ১১:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ০৯, ২০২০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম। করোনার ভয়াল থাবায় সবাই যখন লকডাউনে তখন তিনিও এর বাইরে ছিলেন না। কিন্তু এই দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো চিন্তা থেকে ফেইসবুকে একটা গ্রুপ খুললেন ‘এসো মানুষের জন্য কিছু করি।’
অধ্যাপক রেজাউল করিম বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী আছে টিউশন নিজের খরচ চালাতো কিন্তু মহামারির করোনা ভাইরাসের কারণে টিউশন বন্ধ, তারা অনেকেই মুখ ফুটে কিছু বলতে যাচ্ছে না, কারণ মধ্যবিত্তের আত্মসম্মান বেশি। এর পর থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য হলেও কিছু করতে হবে।
তারই আলোকে ‘এসো মানুষের জন্য কিছু করি‘ এর সূচনা। এই গ্রুপের মাধ্যমে আমরা সেসব শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করছি যারা লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলতে পারে না, এবং কেউ তাদের নিয়ে তেমন করে ভাবছেও না। সাহায্য নয় তাদের মুখে হাসি ফুটানো। আপাতত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে এই যাত্রা। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলের এই অসহায় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমাদের হাসি ফুটানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
‘এসো মানুষের জন্য কিছু করি’ সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩০ এপ্রিল চবিতে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং চবির বিভিন্ন বিভাগের অস্বচ্ছল ২০ জন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। উক্ত খাদ্যসামগ্রী ও অর্থ প্রদানে উপস্থিত ছিলেন চবি ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
২৯ এপ্রিল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম অস্থায়ী ৬০ শয্যার ‘ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়–য়ার কাছে ‘এসো মানুষের জন্য কিছু করি’ এর পক্ষ থেকে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকার নিম্নবিত্ত প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী নিজ হাতে দিয়েছেন এই উদ্যোক্তা অধ্যাপক রেজাউল করিম।
করোনাকালীন এই দুর্যোগে অসহায়দের পাশে দাড়ানোর এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহজাহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রশিদুল হাসান, কানাডা প্রবাসী আয়েশা আহমেদ, নিউইয়র্ক প্রবাসী রুহুল মাতিনসহ আরো অনেকেই।