ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বরকতের মাহে রমজান

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:০১ অপরাহ্ণ, মে ০৬, ২০২০

মাহে রমজানের অফুরান ফজিলত ও বরকতের প্রেক্ষিতেই প্রিয়নবী (সা.) মাহে রমজান যেন নসিব হয় সে দোয়া করতেন। রজব মাস এলেই তিনি পাঠ করতেন, হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব মাসে বরকত দিন, শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজানে পৌঁছে দিন। প্রিয়নবী (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণে আমরাও তা পাঠ করেছি এবং মহান আল্লাহ আমাদের এ রমজান পর্যন্ত জীবিত রেখেছেন।

মহান আল্লাহর দেওয়া অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নেয়ামত হলো কোরআন মাজিদ। এ কোরআন মাজিদ নাজিল হয়েছে রমজান মাসে। তাতে নুরুন আলা নূর হয়েছে মাহে রমজানের নিজস্ব ফজিলতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পবিত্র কোরআন মজিদের ফজিলত।

মহান আল্লাহ বলেন, রমজান মাসে নাজিল হয়েছে কোরআন। সেটি সমগ্র মানব জাতির জন্য পথনির্দেশনা, সুস্পষ্ট হেদায়ত এবং সত্য-অসত্যের পার্থক্যকারী। পবিত্র রমজান মাসেই রয়েছে লাইলাতুল কদর। যে একরাত হাজার মাসের চেয়ে বহু উত্তম মহান আল্লাহ বলেন, লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।

মাহে রমজান উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এই মাসে একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

রমজান মাস এতই ফজিলতের যে এ মাসের নফল ইবাদতে অন্য সময়ের ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায় এবং এ মাসে একটি ফরজ ইবাদতে অন্য সময়ের করা ৭০টি ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়।

রসুলুল্লাহ তাঁর ভাষণে বলেছেন, যে ব্যক্তি এই মাসে একটি কল্যাণময় কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করবে সে অন্য সময়ের ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব পাবে এবং যে ব্যক্তি এই মাসে একটি ফরজ ইবাদত আদায় করবে সে অন্য সময়ের ৭০টি ফরজের সওয়াব পাবে।

 
Electronic Paper