রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ সুন্নাত হলো, রজব মাস ও শাবান মাস বরকতের জন্য এবং রমজান প্রাপ্তির জন্য দোয়া করতে থাকা; রজব ও শাবান মাস থেকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা, রজব ও শাবান মাসে অধিক পরিমাণে নফল রোজা রাখা ও নফল নামাজ আদায় করা, শাবান মাসের চাঁদের তারিখের হিসাব রাখা; রমজানের চাঁদ দেখা; সাহ্?রি খাওয়া, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, ইফতার করা ও করানো, বিশ রাকাত তারাবিহর নামাজ আদায় করা, কোরআন কারিম বেশি বেশি তিলাওয়াত করা এবং ইতেক্বাফ করা; রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোয় শবে কদর সন্ধান করা, ঈদের জন্য শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা।
সাবালক বা প্রাপ্তবয়স্ক, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা বা স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, রোজা পালনে সক্ষম সুস্থ সব নারী ও পুরুষের জন্য রমজান মাসে রোজা পালন বাধ্যতামূলক ফরজ ইবাদত। ঋতুমতী নারী, সন্তান প্রসবকারী মা, অসুস্থ ব্যক্তিরা রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করবেন।
এমন অক্ষম ব্যক্তি, যিনি পুনরায় সুস্থ হয়ে রোজা পালনের সামর্থ্য লাভের সম্ভাবনা বিদ্যমান নেই, তাঁরা রোজার জন্য ফিদইয়া প্রদান করবেন।
অর্থাৎ প্রতিটি রোজার জন্য একটি সদকাতুল ফিতরের সমান দান করবেন। জাকাত গ্রহণের উপযুক্তদেরই এই ফিদইয়া প্রদান করা যাবে।
রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করা ও ইবাদতের পরিবেশ বজায় রাখা জরুরি। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রোজা আমারই জন্য, আমিই এর বিনিময় প্রতিদান দেব।’ (বুখারি, দ্বিতীয় খ-, পৃষ্ঠা: ২২৬)।