ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সৌন্দর্যের লীলাভূমি ঝালকাঠি

রুপসী বাংলা ডেস্ক
🕐 ৬:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০

প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের স্বপ্নের ধানসিঁড়ি নদীর প্রবাহিত অঞ্চল ঝালকাঠি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা দর্শনীয় স্থান। ঝালকাঠি জেলা নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এখানকার পর্যটকদের কাছে নদী ও চরাঞ্চল ভ্রমন বেশ জনপ্রিয়, যার মধ্যে দেশের নানা নামকরা নদীও রয়েছে। কীর্তনখোলা নদী, খায়রাবাদ নদী, বিষখালী নদী, সুগন্ধা নদী, ধানসিঁড়ি নদী, গাবখান নদী, জাংগালিয়া নদী ও বাসন্ডা নদী ঝালকাঠি জেলার প্রধান নদী। এছাড়া সুজাবাদ কেল্লা, ঘোষাল রাজবাড়ী, পুরাতন পৌরসভা ভবন, মাদাবর মসজিদ, সুরিচোরা জামে মসজিদ। নেছারাবাদ মাদ্রাসা গাবখান সেতু, কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি, শের-ই বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ, বিনয়কাঠি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ জেলাকে নিয়ে আজকের প্রতিবেদন-

সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি
দক্ষিণ বাংলার ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে খুলনা বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে রয়েছে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মস্থান সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি (ঝধঃঁৎরধ তধসরহফধৎ ইধৎর)। ধারণা করা হয় ১৭শ শতকে ফজলুল হকের মাতামহ আলী মিয়া এ জমিদার বাড়িটি নির্মাণ এবং এ অঞ্চলে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। মাতুলাল (ফজলুল হকের মায়ের বাড়িতে) ফজলুল হক তার শৈশব পার করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি এ বাহির মক্তবটিই ব্যবহার করেছেন। শৈশব ছাড়াও তিনি এখানে কর্মজীবন ও রাজনৈতিক জীবনের অনেক সময়ই ব্যয় করেছেন। পুরো জমিদার বাড়িটি ১০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। জমিদার বাড়িটি ঘিরে রয়েছে পুকুর, বাগান ও কয়েকটি ভবন। মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি মূল কমপাউন্ডটি ৩টি ভবনের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিটি ভবনের দেয়ালে মুঘলশৈলীতে বিভিন্ন ধরণের নকশা করা রয়েছে। মূল কমপাউন্ডে প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি প্রধান প্রবেশপথ। ভবনগুলো নির্মাণে চুন সুড়কির পাশাপাশি ইটও ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে জমিদার বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে এ জমিদার বাড়িতে শেরে বাংলার স্মরণে শেরে বাংলা স্মৃতি পাঠাগারসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ বাড়িটি বর্তমানে আলী মিয়ার বংশধরগণ দেখাশুনা করে থাকেন।


ভাসমান পেয়ারা বাজার
ঝালকাঠি, বরিশাল এবং পিরোজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান। ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলিতে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার। তিন দিক থেকে আসা খালের মোহনায় বসে ভিমরুলির এই ভাসমান পেয়ারা বাজার। জুলাই, আগস্ট পেয়ারার মৌসুম হলেও মাঝে মাঝে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজার চলে। ভাসমান পেয়ারা বাজার দেখতে আগস্ট মাস সবচেয়ে উপযোগী সময়। সকাল ১১ টার পর পেয়ারা বাজারের ভিড় কমতে থাকে তাই ১১ টার আগে বাজারে যাওয়াই সবচেয়ে ভাল। এছাড়া ব্যাকওয়াটারে ঘুরে খালের সঙ্গে লাগোয়া ঘরবাড়ি, স্কুল, ব্রিজ এবং রাস্তার সম্মোহনী রূপ উপভোগ করতে পারেন। খালের মধ্য দিয়ে চলার সময় চাইলে হাত বাড়িয়ে আমরা কিংবা পেয়ারা ধরতে পারবেন। আর যদি বৃষ্টি হয় তবে চারপাশটা আরো অপার্থিব সৌন্দর্যে মোহনীয় হয়ে উঠবে।


সংক্ষিপ্ত

জেলার পটভূমি
ঝালকাঠি ভূখণ্ডে ঠিক কবে থেকে জনবসতি শুরু হয়েছিল তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও নাম দেখে বোঝা যায়- এখানে অতি প্রাচীনকাল হতে কৈবর্ত জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরাই প্রথম আবাদ আরম্ভ করেছিল। কৈবর্ত জেলেদের ঝালো বলা হতো এবং তাদের পাড়াকে বলা হতো ঝালোপাড়া। অনেকের ধারণা এ ঝালোপাড়া থেকেই ঝালকাঠি নামের উৎপত্তি। কবি বিজয়গুপ্ত মনসামঙ্গল কাব্যেও জেলে সম্প্রদায়কে ঝালো নামে উল্লেখ করেছেন। মেহেদীপুরের জেলেদের সঙ্গে স্থানীয় লোকদের মনোমালিন্য দেখা দিলে তারা বাসন্ডা ও ধানহাটা খালের উভয় তীরে কাটাবাখারী জঙ্গল কেটে আবাদ করে বসতি স্থাপন করে। ঝালকাঠি বন্দরে পূর্বে অধিকাংশ নাগরিকই ছিল কৈবর্তদাস বা জেলে সম্প্রদায়ের লোক। বর্তমান ঝালকাঠির পশ্চিম তীরে জেলেরা জঙ্গল সাফ করে বাসস্থান তৈরি করত। জেলে+কাঠি=জাল+কাঠি অপভ্রংশে ঝালকাঠি নামকরণ করা হয়েছে। এই জেলে ও জঙ্গলের কাঠি থেকেই উৎপত্তি হয় ঝালকাঠির নাম।
তেমনি চাঁদকাঠি, কৃষ্ণকাঠি, চরকাঠি, বিনয়কাঠি ইত্যাদি। যা বিস্তৃত রয়েছে স্বরূপকাঠি পর্যন্ত। বিশ্বরূপ সেনের একখানি তাম্রলিপিতে ঝালকাঠি ও নৈকাঠির নামোল্লেখ আছে। এ থেকেও ঝালকাঠি নামটি যে জেলেদের কাছ থেকে পাওয়া তার সমর্থন মিলে। ঝালকাঠি জেলার প্রাচীন নাম ছিল মহারাজগঞ্জ।

কবি জীবনানন্দ দাশের মামা বাড়ি
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের স্বপ্নের ধানসিঁড়ি নদী। যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি রচনা করেন আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ি নদীটির তীরে এই বাংলায়। তাঁর পিতার নাম সত্যানন্দ দাশ, মাতা কবি কুসুম কুমারী দাশ। কবির ডাক নাম মিল। তাঁর আদি নিবাস গওপাড়া, বিক্রমপুর কিন্তু তাঁর জন্মস্থান বরিশালের নতুন বাজার। ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ধানসিঁড়ি নদীটি দক্ষিণ বাংলার বর্তমানে ঝালকাঠি জেলায় রাজাপুর থানায় অবস্থিত। ব্রিটিশ শাসিত বাংলায় এ নদীপথ দিয়েবরিশাল- ঝালকাঠি- রাজাপুর- সাতুরিয়া- কাউখালী- পিরোজপুর-খুলনা-কলকাতা স্টীমার চলাচল করত। নদীর দুই তীরে ধান ক্ষেত এবং তার কাছেই নদীর তীরে অবস্থিত বামনকাঠী গ্রামে তাঁর মামা বাড়ি ছিল। কবি শৈশবে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে মামা বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। বরিশালে বাবা মার সঙ্গে বসবাস করলেও মামা বাড়ি ছিল তার প্রিয় স্থান। এখানে তিনি ভ্রমণ করতেন। উপভোগ করতেন ধানসিঁড়ি নদীর অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য।

সুজাবাদ কেল্লা
ঝালকাঠি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সুগন্ধা নদীর পাড়ে সুজাবাদ কেল্লা (ঝঁলধনধফ কবষষধ) অবস্থিত। মোগল সাম্রাজ্যের শেষদিকে বাংলার এই অঞ্চল মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের অবাধ লুণ্ঠন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। শুধু তাই নয় এই জলদস্যুরা এক পর্যায়ে এই অঞ্চলে বসবাস করা নিরীহ মানুষ বিক্রি করার ভয়াবহ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
বিখ্যাত পর্যটক সেবাষ্টিয়ান ম্যান্ডরিক তৎকালীন তার ডায়েরিতে সেই ভয়াবহ অবস্থার বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, পর্তুগিজ এবং আরাকানি জলদস্যুদের অসহনীয় উৎপাতের কারণে এই অঞ্চল জনশূন্য ভূমিতে পরিণত হয়েছিল। দক্ষিণাঞ্চলের ত্রাস দুর্দমনীয় এই বাহিনীকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে শাহজাদা সুজা ষোলশ চুয়ান্ন সালে সুজাবাদ গ্রামের পত্তন করেন এবং জলদস্যুদের দমন এবং তাদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সুজাবাদ গ্রামে দু’টি কেল্লা তৈরি করেন ।
কেল্লাদ্বয়ের একটি মাটি এবং অন্যটি ইট দ্বারা তৈরি করা। শাহ সুজা নির্মিত কেল্লাদ্বয় যথাক্রমে অন্দর এবং বাহির কেল্লা নামে পরিচিত ছিল।
জনশ্রুতি অনুসারে এই কেল্লা দু’টি একরাতের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই কেল্লা ভূতের গড় নামে পরিচিত। বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কের মাঝামাঝি দক্ষিণ পার্শ্বে গৌরবময় অতীতের শৌর্য-বীর্যের কাহিনী ধারণ করা সেই ঐতিহাসিক কেল্লার অতি সামান্য চিহ্ন শুধুমাত্র পরিদৃষ্ট।
আরো জানা যায়, সম্রাট শাজাহান তার পুত্র আওরঙ্গজেব কর্তৃক গৃহবন্দি হলে আওরঙ্গজেবের সঙ্গে তার ভাইয়েরা যুদ্ধে লিপ্ত হন।


কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি
ঝালকাঠি জেলার সদর থেকে ৪/৫ কিঃমিঃ উত্তর পশ্চিম দিকে রাজাপুর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাচীনতম জনপদের নিদর্শন কীর্তিপাশার জমিদার বাড়ি (করৎঃরঢ়ধংযধ তধসরহফধৎ ইধৎর)। কালের বিবর্তনে জমিদারি প্রথা আজ ইতিহাস হলেও এক সময় এই জমিদার বাড়িটি কেন্দ্র করেই অত্র এলাকার সমস্ত কার্যক্রম সম্পাদিত হতো। রাজা কীর্তি নারায়ণের নাম অনুসারে কীর্তিপাশা। প্রায় একশতক বছর আগে রামজীবণ সেন কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ীর প্রতিষ্ঠা করেন। জমিদার কীর্তিপাশা, রামজীবন সেন এবং রাজা কীর্তি নারায়ণের নামে প্রাসাদটির নামকরণ করেন। এ বংশের সমত্মান রোহিনী রায় চৌধুরী ও তপন রায় চৌধুরী দুটি উজ্জ¦ল নক্ষত্র। গাবখান নদীর তীরে স্টীমার ঘাট রোহিনী গঞ্জ রোহিনী রায় চৌধুরীর অবদান। সেই সঙ্গে ইতিহাস গ্রন্থ বাকলা কীর্তিপাশায় আছে হাসপাতাল যা ঝালকাঠি থানা সদরে (জেলা সদর) হাসপাতালের চেয়েও পুরাতন।

ধানসিঁড়ি নদী
চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ধানসিঁড়ি নদীর দু’ধারে আছে ধানক্ষেত। রূপসী বাংলার বিখ্যাত কবি জীবননান্দ দাশের চাচা এই নদী তীরের কাছেই বাস করতেন। কবি জীবননান্দ দাশ এই নদীর সৌন্দর্যে এতটাই বিমোহিত হয়েছিলেন যে তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতা রচনার পেছনে এই নদীটি ছিল প্রধান অনুপ্রেরণা।


গালুয়া পাঁকা মসজিদ
রাজাপুর উপজেলার বিখ্যাত এ মসজিদটি ভান্ডারিয়া-রাজাপুর মহাসড়কের গালুয়া বাজার থেকে এক কিঃমিঃ পূর্বদিকে দুর্গাপুর গ্রামে অবস্থিত। সরেজমিনে গিয়ে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা হল- মাহমুদ জান আকন (মামুজী) নামক এক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ১১২২ সালে (বাংলা) এটি নির্মাণ করেন। মসজিদের কাছে পরিত্যক্ত একখ- শিলালিপি থেকে এর নির্মাণ সন উদ্ধার করা হয়। মাত্র ৭৫/৮০ বছর পূর্বেও মসজিদটি ঘন জঙ্গলে আবৃত ছিল। সে সময়ের পীর সাহেব জনাব মাহতাবউদ্দিনের সহযোগিতা, আন্তরিকতা ও নেতৃত্বে এটি সংঙ্কার করা হয়। কথিত আছে যখন মসজিদটির সংলগ্ন ঝোপ ঘন জঙ্গল সাফ করা হয় তখন বড় বড় বিষধর সাপ বেরিয়ে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে হুজুর নির্দেশ দিলেন মসজিদটির চারদিকের একদিক খোলা রাখতে। দেখা গেল সাপগুলো খোলা দিক থেকে বেড়িয়ে গেল এবং মসজিদটিকে নামাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা হল। মসজিদটি অতি প্রাচীন হওয়ায় আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ছিল। তখন প্রতিবেশী জনৈক সমাজসেবী ধর্মপ্রাণ আলহাজ্জ আব্দুল কুদ্দস খানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতœতত্ত্বক বিভাগ অধিগ্রহণ করে গত ২০০৪ সালে। অতঃপর উক্ত বিভাগের নিজস্ব কারিগর দ্বারা পূর্বে অবিকল নকশায় পুনঃ নির্মাণ করা হয় ২০০৬ সালে। বর্তমানে এখানে জামাতের সঙ্গে পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয় ।


গাবখান সেতু
বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত গাবখান চ্যানেলের ওপর প্রতিষ্ঠিত ৫ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতুটিই গাবখান সেতু (এধনশযধহ ইৎরফমব) নামে পরিচিত। সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ গাবখান চ্যানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার। দুইপাশে সবুজের সমারোহ নিয়ে বয়ে চলা এই খালটি সৌন্দর্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশে অদ্বিতীয়।
প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন গাবখান চ্যানেলের নৌপথের রূপে বিমোহিত হওয়ার সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করতে শতবর্ষী কোন প্যাডেল স্টীমারের ফ্রন্ট ডেকে চড়ে বসতে পারেন। গাবখান খালের ওপর নির্মিত গাবখান সেতুটি দেশের সর্বোচ্চ উঁচু সেতু হিসাবে স্বীকৃত। আর সেতুটির অপূর্ব নির্মাণশৈলী অন্যান্য সকল সেতু থেকে একে দিয়েছে বিশেষ স্বতন্ত্রতা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper