ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাখির চিকিৎসক এম এ মান্নান

বিবিধ ডেস্ক
🕐 ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

একদিন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তিনটি ডাহুক পাখির ছানা পড়ে ছিল। তার খুব মায়া হল। বাসায় নিয়ে এলেন। মানুষজন বলাবলি করছিল, লোকটা পাগল নাকি। এতটুকুন বাচ্চা বাঁচবে? তিনি কারো কথা শুনলেন না। পাখির যত্ন নিলেন।

চিকিৎসাও করলেন টুকটাক। নিজে পোষা পাখি পুষতেন। তাই জানাশোনা ছিল। কখন কী করতে হয়। বাচ্চা ডাহুকগুলো বড় হল। একদিন তিনি পাখিগুলো বনে ছেড়ে দিলেন। এ ঘটনা আঠারো বছর আগের। 

সেই থেকে পাখির চিকিৎসা করে যাচ্ছেন ডা. এম এ মান্নান। নিজে মানুষের চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন সহকারী আবাসিক চিকিৎসক ও সার্জন। কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন। মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় হন। ডা. এম এ মান্নান বাংলাদেশে খাঁচার পাখির আধুনিক চিকিৎসার প্রবর্তক। পাখি অসুস্থ শুনলেই ছুটে যান।

ফোনে পরামর্শ দেন। শুধু চিকিৎসা নয়। খাঁচার পোষা পাখিতে মান্নানের সফলতা বলার মত। ২৫০ প্রজাতিরও বেশি পাখি পালন করেছেন তিনি। লাভবার্ডের দু’একটি বাদে সব প্রজাতি তার খামারে ডিম বাচ্চা করেছে।। কিছুদিন আগেও দেশে পোষা পাখির চিকিৎসা ছিল না বললেই চলে। অসুস্থ হলেই পাখিকে নিমপাতা, এলোভেরা জেল খাওয়ানো হত। সেখানে সচরাচর পোষা পাখির যে সব রোগ হয়। সবগুলো রোগের ওষুধ খুঁজে বের করতে সক্ষম হন তিনি। এ জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

খাঁচার পাখির খাবার, রোগ বালাই, ডিম বাচ্চা করা ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন তিনি। নিজে মানুষের চিকিৎসক। ইন্টারনেটে বিশ্বের বিখ্যাত এভিয়ান ভেটদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিদেশ থেকে পাখিবিষয়ক বই আনিয়ে পড়াশোনা করেন।

বনের পাখি যেন মানুষ হত্যা না করে। শিকার না করে। সে জন্য মান্নান বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক কাজ করেন। কয়েকবার পাখি পালন, রোগ বালাই ও চিকিৎসা শীর্ষক ফ্রি কর্মশালার আয়োজন করেছেন ডা. এম এ মান্নান।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper