ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাখির ভেষজ চিকিৎসা করেন মুনমুন

বিবিধ ডেস্ক
🕐 ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

নওশিন লায়লা মুনমুন। মেধাবী ছাত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি সাবজেক্টে মাস্টার্স করেছেন। থাকেন মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায়। প্রথমে শখ করে একটি মোরগ কিনেন। নাম দেন লালী। এরপর কিনলেন বাজরিগার, তারপর কটাটেল, খরগোশ। এটা ১৯৯০ সালের দিকের কথা।

ছোটকাল থেকেই তার পশুপাখির প্রতি প্রেম। মেয়েমানুষ পাখি পালে! সবার তীর্যক দৃষ্টি। ব্যঙ্গোক্তি। মুনমুন এসবে পাত্তা দেননি। তিনি পোষা পাখিকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। ভেটেরিনারি চিকিৎসার বই, হোলিস্টিক ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি, ইন্টারনেটে প্রচুর পড়াশোনা শুরু করেন। দেশ বিদেশের এভিয়ান ভেটদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এদিকে নিজের পোষা পাখির সংগ্রহ বেড়ে যায়।

পাখি ডিম দেয়, পরে বাচ্চা। চোখ-মুখজুড়ে মুনমুনের সে কী খুশি। প্রথমে তিনি পাখির চিকিৎসাপদ্ধতি নিজের পাখির ওপর প্রয়োগ করেন। সফল হোন এক শতভাগ। এরপর অন্যদের সাহায্য করেন। 

কারো পাখি অসুস্থ? ছুটে যান মুনমুন। সময় অসময় নেই। মাঝ রাতে ফোনÑ আপা, পাখি ঝিমায়, খাচ্ছে না। ঘুম ছেড়ে মুনমুন পাখির জন্য পরামর্শ দেন। পোষা পাখির অসুস্থতায় যেখানে এন্টিবায়োটিক ওষুধের কথা ভাবা হয়। সেখানে মুনমুন পাখির জটিল রোগের ভেষজ চিকিৎসায় সফল হয়েছেন। এটা বাংলাদেশে আর কেউ পেরেছে বলে জানা যায় না।

পাখির প্রটোজোয়াল ইনফেকশনে থানকুনি পাতা, আদার রস, সালমোনেলোসিসের জন্য চা পাতা, তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা, ট্রাইকোমোনাসিসের জন্য আদা, লেবু, এলোভেরা, মাইকোপ্লাজমোসিসের জন্য নিমপাতা ও আদার রস দিলে ভালো কাজ হয়। পাখির ভেষজ চিকিৎসায় নওশিন লায়লা মুনমুন ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। আস্থা পেয়েছেন পোষা পাখি প্রেমিকদের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Electronic Paper