দাম নিয়েও দুশ্চিন্তায় কৃষক
হিলি প্রতিনিধি
🕐 ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২০
শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। সেইসঙ্গে ধানের দাম পাওয়া নিয়েও চিন্তায় আছেন তারা। হিলির ছাতনি গ্রামের কৃষক সুবোল, জুয়েল, লিটন ও নাজমুল জানান, চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও পোকা মাকড়ের তেমন একটা উপদ্রুপ না থাকায় এবারে বোরো ধানের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। আর ১০-১৫ দিনের মধ্যে মাঠের সব ধান পেকে গেলে কাটা ও মাড়াই শুরু হবে। তবে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে।
এই অঞ্চলে সাধারণত বাইরে থেকে শ্রমিক আসে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করতে। এবার শ্রমিক সংকট দেখা দিলেও এবার করোনার কারণে সেই সংকট আরও তীব্র হবে। এছাড়াও স্থানীয় যেসব শ্রমিক রয়েছে তাদের দ্বারা এত ধান কাটা ও মাড়াই করা অসম্ভব। সরকার যদি বাইরে থেকে কৃষি শ্রমিকদের পাঠানো ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা উপকৃত হবো।
তারা আরও জানান, গত তিন-চার দিন ধরে আকাশের অবস্থা খুব খারাপ। সারাদিনই আকাশ মেঘলা থাকছে। কখন যে শিলাবৃষ্টি হয় এই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি আমরা। সেইসঙ্গে গতবছর ধানের দামও ভালো পাইনি। যার কারণে আমরা ধান আবাদ করে লোকসানের মধ্যে পড়েছি। এবারে কিছুটা ধানের ভালো দামের আশায় ছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে এবারেও গাড়ি বন্ধ থাকায় বাইরের পাইকারা যদি আসতে না পারে তাহলে পারে ধানের দাম যে কী হবে তাও নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা নাজনীন বলেন, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে। সেখানে ৭ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের বর্তমান অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে অন্যান্য বারের মতো এবারেও তেমন কোনও সমস্যা হবে না আশা করি। করোনা পরিস্থিতির ভেতরেও কৃষি শ্রমিকের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এবারে আশার বিষয় হচ্ছে আমরা কৃষকদের মাঝে ইতোমধ্যেই একটি আধুনিক ধান কাটার (কম্বাইন্ড হারভেস্টার) মেশিন বিতরণ করেছি। যা দিয়ে কৃষকরা খুব সহজেই কম সময়ের মধ্যে ধান কাটতে পারবে। আরও মেশিন চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পাওয়া গেলে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা হবে না।