ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নারায়নগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে ১২৪ জনের অবস্থান

চাঁদপুর প্রতিনিধি
🕐 ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০

করোনা আক্রান্ত জেলা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে নৌ-পথে ট্রলারে করে এবং সড়কে বিভিন্ন বাহনে চাঁদপুর সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জে ১২৪জন নিজ বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে হাইমচর উপজেলায় ৪৯জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। চাঁদপুর সদরের ২৪জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। বাকীদের বিষয়ে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানগণ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী, চরভাঙ্গা, মহজমপুর, আলগী, নয়ানী গন্ডামারা ও পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর গ্রামে বুধবার রাত পর্যন্ত ৫০জন এসেছেন। এর মধ্যে ৪৯জনকে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। 

হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবা উল আলম ভুঁইয়া জানান, আক্রান্ত জেলা থেকে আগতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝানো হয়েছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ নজরদারিতে রেখেছেন। সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নে নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন ২১জন। এসব লোকদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী। সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী গ্রামের দাস বাড়িতে নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন তিনজন। তাদের বাড়ি থেকে আলাদা করে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী। তিনি গত বুধবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে রাসেল খান নামে একজন এসেছেন নারায়নগঞ্জ থেকে। ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান তথ্য পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই বাড়ি লকডাউনের ব্যবস্থা করেছেন। ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন দুইজন।

ফরিদগঞ্জ ইউএনও শিউলি হরি বলেন, প্রাপ্ত তথ্যে এ পর্যন্ত আক্রান্ত জেলা থেকে ফরিদগঞ্জের ৫ ইউনিয়নে এসেছেন ৪৭জন।

স্থানীয়রা জানান, আদশা গ্রামের হাজিবাড়ি, মোল্লাবাড়ি, পাঁচকড়ী মিজিবাড়ি, পাঠানবাড়ি, লাউতলী মিজিবাড়ি, লাউতলী তপাদার বাড়ি, লাউতলী জমাদার বাড়ি, খাজুরিয়া লদের বাড়িসহ আশাপামের গ্রামে নারায়নগঞ্জ থেকে প্রায় অর্ধশত লোক এসেছেন।

এদের মধ্যে অনেকে নারায়গঞ্জ পলি ক্যাবল কারখানায় কাজ করতেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভূঁইয়া। এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলায় কাউছার হামিদ এসেছেন সোনারগাঁও থেকে। তবে সে সরকারি নির্দেশ মানছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

 

 
Electronic Paper