ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের ৫ জন করোনায় আক্রান্ত

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত সোহান নামে ১০ বছরের এক শিশুর পরিবারের আরো দুই সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে পরিবারের বাকি দুজন সদস্যের করোনা নেগেটিভ আসলেও তার বাবাকে ইতোমধ্যেই শারীরিক অসুস্থতা বেশি হওয়ায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় তাকে কাঁচপুরের সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেয়া হয়।

আক্রান্তের পরিবারের বড় ছেলে তন্ময় ইসলাম রিদয় জানান, গত ৩ তারিখ প্রথমে টেস্টের জন্য খানপুর হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ৬ তারিখ সেটির রিপোর্ট আসে আর এতে আমাদের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আমার ছোট ভাই করোনা পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়ে। পরে ৭ তারিখ আমাদের পরিবারের বাকি ৪ জন সদস্য অসুস্থতা অনুভব করলে আমাদেরকেও টেস্ট করতে অনুরোধ করি। ৮ তারিখ তারা নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ৯ তারিখ তারা জানায় আমার মা আমেনা বেগম ও আমার মেঝ ভাই রিফাতের করোনা পজিটিভ এসেছে। তবে আমি এবং আমার বাবা জালাল আহমেদের নেগেটিভ এসেছে।

তিনি জানান, প্রথম থেকেই আমরা নিয়ম মেনে আমাদের ছোট ভাইকে আলাদা রাখছি। এখনো সে আলাদা। এর মধ্যে আমার বাবার শরীর খুবই খারাপ হয়ে যায় এবং আমরা বার বার চেষ্টা করি আইইডিসিআর এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের। কিন্তু কোথাও কথা বলতে পারছিলাম না তারা ফোন ধরছিলেন না, আবার কেউ কেউ কেটে দিচ্ছিলেন। রাত থেকে চেষ্টার পর বাবার শরীর বেশি খারাপ হয়ে গেলে দুপুরের দিকে তাদের এ্যাম্বুলেন্স এসে বাবাকে সাজেদা ফাউন্ডেশনে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পর নাকি তার কাছে ভয়ে ডাক্তার কিংবা নার্স কেউই আসছেন না এবং কোন খাবারও দিচ্ছেন না।

তিনি জানান, তাদের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক উত্তরপাড়া বশিরউদ্দিন মার্কেট চিশতিয়া বেকারির সাথে অবস্থিত বাড়িটিতে বর্তমানে প্রধান ফটকে যেমন তালা দেয়া তেমনি তাদের ঘরের বাইরে থেকেও তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন বা শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে যাবারও উপায় নেই এখন তাদের। এর মধ্যে ঘরে ঔষধ ও খাবারের প্রয়োজন পড়লে সেটি আনানোর জন্যও কোন ব্যবস্থা হচ্ছেনা। স্থানীয় কাউন্সিলর এখন লোকের কথা বললেও তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সকালে ঔষধের কথা বললে রাতে দিয়ে যান। আর কোন খাবারের কথা বললেই তিনি জানান এখানে পাওয়া যাচ্ছেনা। এমন অবস্থায় আমরা খাদ্য সংকটেও রয়েছি পাশাপাশি ঔষধেরও। প্রধান ফটকে তালা দেয়ার পরও ঘরের বাইরে তালা দেয়ায় আরো ভয়ে রয়েছি যে বিশেষ বিপদ হলে তো আমরা ঘর থেকেও বের হতে পারবোনা। যদিও আমরা সকল নির্দেশনা মেনে এমনিতেও ঘরেই অবস্থান করছি তাই এতটা অমানবিক না হতে আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি।

এ ব্যাপারে জানতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুকের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি খোলা কাগজ কে জানান, ওই বাড়িতে নতুন করে করুনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এমন কোনো খবর এখনো আমি পাইনি। তবে ওই বাড়িটি পুরো লকডাউন করে রাখা হয়েছে। পরিবারের কাউকেই বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে নিষেধ করে দিয়েছে। তবে এখনই আমি ওই বাড়ির খোঁজ নিচ্ছি বলে তিনি জানান।

 

 
Electronic Paper