ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাশরাফির রঙিন সমাপ্তিতে বাধা করোনা!

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৩:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৮, ২০২০

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ মুহূর্তটাকে একটু রঙিন করার সুযোগ ছিল মাশরাফিতে। হয়ত এ বছরেই সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ ছিল নড়াইল এক্সপ্রেসের। একটি নয়, দুইটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। তার একটি হচ্ছে ৪শ’ উইকেট, অন্যটি তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা। সে কারণেই হয়ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া মাশরাফি ক্রিকেট ছাড়েন নি। স্বপ্ন দেখেছিলেন আরো ১০ উইকেট ও ৫৩ রান যোগ করা। তাহলেই যে বাংলাদেশের সেরা এই অধিনায়কে মিলবে তৃপ্তি!

আর ১০ উইকেট পেলেই মাশাফির পূর্ণ হবে ৪শ’ উইকেট। যে মাইলস্টোনে পা রাখতে পারলে ছুঁয়ে ফেলবেন ইংলিশ লিজেন্ডারি পেস অল রাউন্ডার অ্যান্ডু ফ্লিনটফকে। আর ৫৩ টি রান করতে পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩ হাজার রানের মাইলস্টোনে রাখবেন পা। তিন ফরমেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলে ৩১০ ম্যাচে নড়াইল এক্সপ্রেসের শিকার সংখ্যা এখন ৩৯০ উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেয়ারওয়েল ম্যাচে পাকিস্তানের লিজেন্ডারি অল রাউন্ডার আবদুর রাজ্জাককে টপকালেন। তাহলে কি নড়াইল এক্সপ্রেসের স্বপ্ন এখানেই গুড়ে বালি! এতে কপাল পুড়েছে মাশরাফিরই বেশি।

করোনা ভাইরাসে যে সব লণ্ডভণ্ড। সারা পৃথিবীজুড়ে লকডাউন। সর্বত্রই একটাই ভয়, করোনা। এই অদৃশ্য শক্তির কাছে মানব জাতি যেন পরাজিত।

তবে অদৃশ্য এই শক্তি মানবতাবোধ জাগ্রত করছে মানব জাতিতে। তাইতো মাশরাফিতে শোনা যায়, করোনা প্রমাণ করল ‘গোলা বারুদ নয়, ভালোবাসার শক্তি অনেক বড়’।

তবুও কি মন থেকে মুছে যেতে পারে কষ্ট! খুব কাছাকাছি যখন এই দুটি মাইলস্টোন করছে অপেক্ষা, তখন আক্ষেপ তো থাকতেই পারে। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে তা প্রত্যাশিত স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা সেটাই অনিশ্চিত! করোনা না হলে সুযোগ ছিল। এপ্রিলেই পাকিস্তান ট্যুর এরপর আয়ারল্যান্ড ট্যুর। দুই ট্যুর মিলে এ বছরই চারটি ওয়ানডে ম্যাচ অবশিষ্ট ছিল বাংলাদেশের ক্যালেন্ডারে। এখন এ দুটিই স্থগিত। আগামী বছরের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে নেই কোন ওয়ানডে ম্যাচ।

সামনে হয়ত সুদিন আসবে। আবার হয়ত স্বাভাবিক হবে পৃথিবী। কিন্তু ততক্ষণে জুনিয়রদের সঙ্গে ফিটনেসের লড়াইটাও যে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে! মাশরাফির বয়স এখন ৩৭ বছর। লম্বা সময় ইনজুরিতে থাকার পরেও কম যান নি তিনি।

ক্যাপ্টেনসি ক্যারিয়ারের শেষটা হয়েছে দারুণ। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি ক্যাপ্টেনসি ক্যারিয়ার উদযাপন করেছেন জয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে। অধিনায়ক হিসেবে উইকেটের সেঞ্চুরিও উদযাপন করেছেন তিনি।

ইনজুরিতে পড়ে ১১ বছর আগে টেস্ট ক্যারিয়ার থেমে গেছে। ৩ বছর আগে খেলার মাঠে বিদায় নিয়েছেন টি-২০ ক্যারিয়ার থেকে। এবার হয়ত বিদায়ের অপেক্ষা গুনছেন ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায়ের। তবে সেটা যেন হয় সুপ্ত রঙিন সেটাই একমাত্র চাওয়া হতেই পারে মাশরাফির।

 
Electronic Paper