ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মনোবিদদের মন্ত্র মেসিদের জন্য  

ক্রীড়া ডেস্ক
🕐 ৩:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৭, ২০২০

করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যস্ত স্পেন। লিয়োনেল মেসি থেকে আঁতোয়া গ্রিজম্যান সবাই এখন গৃহবন্দি। অভূতপূর্ব এই পরিস্থিতিতে ফুটবলাররা যাতে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত না হন, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে লা লিগাও।

মনোবিদদের মতে, ফুটবলাররা যন্ত্রের মতো রুটিন মেনে চলেন। বিশেষ করে যখন সেই রুটিন তৈরি করে দেন ক্লাবের কোচ, ট্রেনাররা। সেই রুটিন কোনও কারণে ভেঙে গেলে মানসিক সমস্যায় পড়তে পারেন ফুটবলাররা। সেভিয়া এফসি অ্যাকাডেমির সাইকোলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর, হুয়ান ম্যানুয়েল গামিতো জানান, ‘একজন অ্যাথলিট কিন্তু সবার আগে একজন মানুষ। তাই সাধারণ লোক এই পরিস্থিতিতে যে রকম সমস্যায় পড়বেন, একজন ক্রীড়াবিদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে বলব, ওদের জীবনটা পুরো একটা রুটিনের ছন্দে বাঁধা। ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট ছক থাকে। এই রুটিনটা ভেঙে গেলে মানসিক সমস্যা আসতে বাধ্য।’

গামিতোর পরামর্শ হচ্ছে নির্দিষ্ট ‘টাইম সøট’-এ দিনটাকে ভাঙো। কখন ট্রেনিং করবে, কখন খাবে, কখন ঘুমোবে, এ সব যেন ঠিক করা থাকে। তা হলে ফুটবলাররা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে জীবনকে বাঁধতে পারবেন।

মানসিক শক্তিকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়। মানসিক শক্তি না থাকলে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করাই কঠিন চ্যালেঞ্জ। তাই এটি খেলোয়াড়দের জন্য খুবই জরুরি। মানসিক শক্তি যাতে কমে না যায় সে জন্য মনোবিদ হুয়ান মিগেল বার্নাত জানিয়েছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে যদি এই মেন্টাল এক্সারসাইজ বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে কিন্তু ঘুম নষ্টের মতো নানা সমস্যায় পড়বে ফুটবলাররা। যে কারণে মানসিকভাবে ফুটবলারদের চাঙ্গা রাখাটা খুবই প্রয়োজন।’ এজন্য, ‘কগনেটিভ ওয়ার্কআউট’ চালু রাখতে। যা মস্তিষ্কের সেই অংশটাকে সক্রিয় রাখবে, যা বরাবর চ্যালেঞ্জ সামলে এসেছে। তাই প্রত্যেক ফুটবলারকে তাঁদের খেলার বিশ্লেষণ তুলে দিয়ে বলা হচ্ছে, কোথায়, কোথায় উন্নতির জায়গা খুঁজে বের করতে। বিপক্ষ ফুটবলারদের খেলার ভিডিও দিয়ে বলা হচ্ছে, তাঁদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে। লক্ষ্য, চ্যালেঞ্জের একটা পরিবেশ তৈরি করা।

এছাড়া ডিজিট্যাল ট্রেনিং করা। অর্থাৎ ফুটবলারদের সঙ্গে ইন্টারনেট মারফত যোগাযোগ রাখা। তাঁদের মানসিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া। 

এরপর দল হিসেবে লড়াই করার কথা বলা হয়। দলগত খেলাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার ব্যাপারটা থাকে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ফুটবলাররা যে একা নন, সেটাই মনোবিদরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

 

 
Electronic Paper