তিন জেলায় ৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ২:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৭, ২০২০
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে কুড়িগ্রাম, ভোলা ও ফেনীতে ৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ১৬ জন, ফেনীতে ১৭ ও ভোলায় ১৬ জন রয়েছেন। এ নিয়ে ভোলায় গত এক সপ্তাহে ৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলো।
এর আগে ভোলায় ৩৫ জনের নমুনা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। যাদের রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে গত মাসে একজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার রিপোর্ট নেগেটিভ এসছিল। আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে ভোলায় হোম কায়োরেন্টাইনে রয়েছেন নতুন করে পাঁচজনসহ ৯২ জন। অন্যদিকে ১৪ দিনের হোম কোয়েরেন্টাইন শেষ হয়েছে ৩৩৯ জনের। গত ২১ দিনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল ৪৩৯ জনকে। আইসোলেশনে ছিলেন তিনজন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন একজন।
এদিকে, কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় গত চার দিনে জেলার আট উপজেলায় ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কানও নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসেনি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত চারদিনে সদর উপজেলায় চারজন, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় তিনজন, চিলমারী উপজেলায় তিনজন, উলিপুর উপজেলায় দুজন এবং রাজারজাট, নাগেশ্বরী, রৌমারী ও রাজিবপুর একজনের করে নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনসহ ৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫৭ জনের মধ্যে ৩২৭ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে।
অন্যদিকে, ফেনীতে করোনা সন্দেহে ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সন্দেহভাজন রোগীরা জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তারা জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গে ভুগছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। তাই তাদের আলাদাভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের সীতাকু-ে ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজ (বিআইটিআইডি) সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২২ জনকে এবং হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ১৯ জনের। এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এক হাজার ১৫৬ জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে এক হাজার সাতজনের।