অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ডের চূড়ায় বাশার-পাইলট
ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ৩:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৬, ২০২০
সময়ের সঙ্গে বদলে সব কিছু। এই এক দশক আগেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে সফল অধিনায়ক হিসেবে ধরা হতো হাবিবুল বাশারকে। অন্যদিকে খালেদ মাসুদ পাইলটকে বলা হতো দেশ সেরা উইকেট রক্ষক। বদলে গেছে সব। নতুন প্রজন্ম বদলে দিয়েছেন। তাদের স্থান দখল করে নিয়েছেন মাশরাফি আর মুশফিকুর রহিমরা। তবে বাশার ও পাইলট যতই সময়ের সেরা হন না কেন আক্ষেপ তাদের একটা থাকছেই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনোই ম্যাচ সেরা হতে না পারার আক্ষেপ। এই অপ্রাপ্তিই তাঁদের জায়গা করে দিয়েছে অনাকাক্সিক্ষত এক রেকর্ডের, সবার ওপরে।
ক্যারিয়ারে ১২৬টি ওয়ানডে খেলেছেন পাইলট, টেস্ট ৪৪টি। একবারও ম্যান অব দ্য ম্যাচ না হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড এটিই। সবমিলে ১৭০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই রেকর্ডে মাসুদের ঠিক পরেই রয়েছেন হাবিবুল বাশার সুমন। খেলেছেন ১৬১ ম্যাচ (৫০ টেস্ট, ১১১ ওয়ানডে)। তবে তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাস্তবতাও ছিলো কঠিন, বেশির ভাগ ম্যাচেই পরাজিত। তখন লড়াই করাটা ছিলো অনেক বড় ব্যাপার। তাই বলে যে ম্যাচ সেরা হওয়ার সামর্থ্য ছিলো না, তা বলা যাবে না। দু’জনেরই সামর্থ্য ছিলো। একটা সময় দলের ব্যাটিং নির্ভরতার প্রতীক ছিলেন বাশার ও উইকেট রক্ষক পাইলট। তাঁদের ব্যাটিং কল্যাণে বাংলাদেশ অনেকবারই লজ্জাজনক অবস্থান থেকে উঠে দাঁড়ায়।
ম্যাচ সেরা না হলেও, একবার ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলেন পাইলট। চোখ ধাঁধানো কোনো পারফরম্যান্স অবশ্য ছিল না। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মোট ১০২ রান করেছিলেন মাসুদ। তিন ম্যাচে ক্যাচ ছিল মোটে দুটি। বাংলাদেশের চরম দুর্দশার সিরিজে তিনিই একটু লড়াই করেছিলেন ব্যাট হাতে। সান্ত¡না হিসেবেই হয়তো সিরিজ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
তবে এখানে থাকছে পাইলটের অনেক বড় কৃতিত্ব। যা পারেন নি বিশে^র সেরা অনেক উইকেট কিপারই। এই রেকর্ডের প্রথম পাঁচের বাকি তিনজনই উইকেটকিপার। ১৪৩ ম্যাচ খেলেছেন কিরন মোরে, ১৩৭ ম্যাচ সৈয়দ কিরমানি ও ১৩২টি ওয়াসিম বারি। কিন্তু কেউ কখনও হতে পারেননি ম্যাচ সেরা।
যদিও শুধু কিপিং দিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। সংস্করণ আলাদা করে দেখলেও তাই এই রেকর্ডে কিপারদের নামই বেশি। ওয়ানডেতে রেকর্ডটি নয়ন মঙ্গিয়ার। সাবেক ভারতীয় কিপার ১৪০ ওয়ানডে খেলে ম্যাচ সেরা হতে পারেননি। এরপরই মাসুদ, ১২৬ ওয়ানডে।