ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সন্তান প্রতিপালনে পিতামাতার ভূমিকা

মকবুল হামিদ
🕐 ১:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৫, ২০২০

সন্তান প্রত্যেক পিতামাতার কাছে এক একটা সম্পদ। সন্তান হচ্ছে পিতামাতার ভালোবাসার ফসল। সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর প্রত্যেক পিতামাতাই চায় তার সন্তানরা যাতে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়, মানুষ হিসেবে সমাজে মর্যাদা পায়। একটা সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। সন্তানের ভরণপোষণসহ সকল প্রকারের দায়-দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক সময় না খেয়েও সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন। চান তার সন্তান বড় হয়ে সমাজে মর্যাদা পাক, তাদের বার্ধক্য সময়ে তারা যেন সন্তানদের কাছে শেষ আশ্রয়টুকু পান এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেখা যায় সবার কপালে তা জোটে না পরিবার হল সন্তানের প্রথম বিদ্যালয়।

এই বিদ্যালয় থেকে সে যা শিখবে, সেটার ওপর নির্ভর করবে তার ভবিষ্যৎ সুন্দর হওয়া না হওয়া। তাই এক্ষেত্রে পিতামাতাকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে। অবহেলায় অধিকাংশ সন্তান অকালে ঝরে পড়ে। অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায় তাদের জীবনবৃক্ষ। সন্তানের সুন্দর জীবন গঠনে তাই মা-বাবার সচেতনতা ও আন্তরিকতার বিকল্প নেই। তাদের সন্তানদের যেভাবে গড়ে তুলবেন সন্তানরাও ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে। বর্তমানে দেখা যায় অনেক সন্তানরা বড় হলে তাদের অভিভাবক পিতামাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়।

খোঁজখবর নেয় না। আবার অনেক জায়গায় দেখা- যতই বয়স্ক হোক না কেন সন্তানরা তাদের কাছে রাখে, সেবা যতœ করে, দেখাশোনা করে। ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়। যে পিতামাতা যত সচেতন তাদের সন্তানরাও তত ভালোভাবে বেড়ে উঠবে। যদি সন্তান লালনপালনে সচেতন না হয় তাহলে তাদের সন্তানরা বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত থেকে বড় হবে।

একসময় তারা সমাজ, দেশ ও দশের বিরাট ক্ষতি সাধন করবে এটাই স্বাভাবিক। সন্তানের প্রতি পিতামাতার অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তা হচ্ছেÑ সন্তান জন্মের পর তাদের সুন্দর নাম রাখা, জন্মের সাত দিনে তাদের আকিকা করানো, ছোট্ট বয়স থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পাঠানো, সন্তানের বিয়ের বয়স হলে বিয়ে করানো ইত্যাদি। সন্তানকে তাদের সাধ্যমত পরিচর্যা করা উচিত।

সন্তান প্রতিপালনে বর্তমানে কোনো কোনো বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পিতামাতা যদি সন্তানকে ভদ্রতা দেখান, তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করেন, তাদের যথাযথ দেখাশোনা করেন, তবে সন্তানের কাছ থেকে পরবর্তীতে এসব আশা করতে পারেন; অন্যথায় নয়। সন্তানের প্রতি দায়িত্ব মোটেও কম নয়। সন্তানদের সঠিকভাবে লালনপালন করা বড় দায়িত্ব। সন্তানদের সঠিক পরিচর্যা করা, তাদের সঠিক শিক্ষাদান, সঠিক পথে পরিচালনা করার দায়িত্ব অভিভাবকের।

মকবুল হামিদ, চাঁদপুর
[email protected]

 
Electronic Paper