ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কষ্টে আছেন সহশিল্পীরা

বিনোদন প্রতিবেদক
🕐 ২:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৪, ২০২০

চলচিত্রে নায়ক-নায়িকার কদর বেশি। আবার পারিশ্রমিকও বেশি। এ দুই শ্রেণির পার্থক্যটা আকাশ-পাতাল। তাইতো শেষ বেলায় বেশ কষ্টে চলে যায় জীবন। এরই মধ্যে যদি নেমে আসে জাতীয় দুর্যোগ! তাহলে তো কথাই নেই, না খেয়ে দিনাতিপাত। শাহরুখ খান আর আমির খানরা তাই ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির এই শ্রেণির অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেন।

কিন্তু বাংলাদেশে? আওয়াজ শোনা যায় তাঁরাও আছেন দেশের এই পেশার লোকজনের পাশে। যাদের মধ্যে অন্যতম ডিপজল আর অনন্ত জলিল। কিন্তু করোনার এই দুর্যোগে কাউকে কাছে না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করা অভিনেত্রী আরজিনা বেগম।

তিনি বলেন, ‘শুনলাম ডিপজল ভাই, অনন্ত জলিল ভাই নাকি আমাগো পাশে দাঁড়াইছে, সবাইকে সাহায্য করতেছে। কই আমরা তো কিছু পাইলাম না। সারাদিন বাসায় ফোন হাতে নিয়া বসে ছিলাম, কেউ ফোন দিব। অথচ ৪-৫ দিন হইয়া গেল কেউ ফোন দিল না, খবরও নিল না। ডিপজল ভাই, অনন্ত জলিল ভাই কারও সাহায্যই পাইলাম না।’

প্রায় ১০ বছর ধরে মিডিয়ায় এক্সট্রা চরিত্রে অভিনয় করেন আরজিনা বেগম। সিনেমায় এই শিল্পীরা নায়ক-নায়িকাদের থেকে বেশ দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন। কখনো মিছিল-মিটিং করতে দেখা যায়, কখনো ক্যামেরার ফ্রেমের ভেতরেই বেশ দূর থেকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। বেশির ভাগ ছবিতে তাঁদের কোনো সংলাপ থাকে না। এই শিল্পীরা আয় করতেন দিনে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। কখনো কিছুটা বেশি। করোনায় শুটিং বন্ধ। তাই তাদের সেই আয়ও বন্ধ। অনেকের মতো অসহায়, কষ্টে আছে আরজিনার পরিবারও।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘কত দিন হইল শুটিং বন্ধ, কাজ-কাম নাই। আবার শুনতাছি অনেক দিন বন্ধ থাকব। অহন ৬-৭ জনের সংসার নিয়া কী করুম, কিছুই বুঝে উঠতে পারতেছি না। শুটিং আরও কিছুদিন বন্ধ থাকলে জীবনই চালাইতে পারুম না। প্রতিদিন খাওয়ার জন্য এত টেনশন করা যায়? কাজ থাকলে তাও ‘দিন আনি দিন খাই’ এভাবে চলে যায়।’

পরিবারের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়া নিয়া খুবই সমস্যায় আছি। একা পরিবার চালাই। পরিবারের সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। কাজও নাই, টাকাও নাই। প্রতিদিন দোকান থেকে বাকিতে চাল কিনে আনছি। এই কদিনে ৬-৭ হাজার টাকা বাকি হয়ে গেছে। এত টাকা বাকি, তারপর ঘর ভাড়া ২ মাসে ৯ হাজার টাকা কীভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না।’

আরজিনা বলেন, ‘একটা মানুষের আয় দিয়ে পাঁচটা মানুষকে যত কমই খাওয়াই না কেন, কাজ না থাকলে কীভাবে খাওয়াব? এই সব নিয়ে বিশাল সমস্যায় আছি। এই সময়ে কেউ সাহায্য করতেছে না। কেউ ফোন দিচ্ছে না।

 
Electronic Paper