স্কুল কক্ষে আইসোলেশন সেন্টার
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
🕐 ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৩, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বলতে গেলে কিছুই নেই। জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী এলেই দূরে সরে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণ মানুষ কোনো নিয়ম মানছে না। একজন রোগীর সঙ্গে ১০ জন হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ছেন।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত তারা করোনা মোকাবিলার জন্য সুরক্ষিত থাকার পোশাক (পিপিই) ও মাস্ক হাতে পাননি। তবে গতকাল শুক্রবার সেটা পাওয়ার কথা ছিল। করোনা রোগীর জন্য বাঘা হাইস্কুলের একটি কক্ষে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এতদিন এসব সরঞ্জামের অভাবে তারা জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী থেকে দূরে সরে থেকেছেন। পোশাক পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেবেন। করোনা রোগী এলে কি করা হবে জানতে চাইলে একজন চিকিৎসক জানান, এ ব্যপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। কোনো রোগী এলে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্বাস্থ্য (কমিউনিটি ক্লিনিক) কেন্দ্র আছে। সেখানে বলা হয়েছে কোনো করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। মোবাইল ফোনে রোগ শুনে পরামর্শ দেওয়া হবে। আর কোনো রোগী যদি সরাসরি হাসপাতাল এসে থাকে তা হলে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচটি ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও পাঁচটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো রোগী আসেনি। তবে এখন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার কোনো কিছু তারা জানেন না। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ সুযোগ রয়েছে। কেউ চাইলে সেখানে পরীক্ষা করতে পারবেন।
এদিকে করোনা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ বাইর থেকে এলেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলার বাউসা গ্রামে ঢাকা থেকে আসা এক যুবক জ্বরে আক্রান্ত হলে এলাকাবাসী তাকে ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। পরে স্বাভাবিকভাবেই তার জ্বর সেরে যায়। উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামে বিদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তিকে লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছেন না। তার শরীরের করোনার কোনো লক্ষণ নেই। তারপরও তিনি নিজের বাড়িতেই বন্দি হয়ে আছেন।