করোনা মোকাবেলায় এলাকায় নেই জনপ্রতিনিধিরা
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ২:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০
হবিগঞ্জের মাধবপুরে মরণব্যাধি কারোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাচ্ছে না এলাকার জনগণ। খাদ্যের অভাবে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক পরিবারে নীরব কান্নায় ডুবছে। জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের বিত্তবানরাও যেন তাদের কান্না শুনতেই পাচ্ছে না।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসে পুরো দেশ স্থবির হয়ে আছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাদেশও রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এ অবস্থায় অনেকেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। কৃষি নির্ভরশীল এই উপজেলায় দরিদ্র মানুষ চরম অর্থ সংকটের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে, একটি পৌরসভা, ১১টি ইউনিয়ন উপজেলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান, মেম্বার কাউন্সিলরসহ ১৬১ জনপ্রতিনিধি আছে। কিন্তু তারা এ সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে নেই।
তবে অনুসারীদের মাধ্যমে খোঁজখবরের পাশাপাশি তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রিকায় প্রেসরিলিজ দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান দেশের বৃহৎ গার্মেন্টস শিল্পপ্রতিষ্ঠান সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান।
তিনি জনগণের এই কঠিন সময়ে এলাকায় নাই। পাশাপাশি জেলা পরিষদের মহিউদ্দিন কামাল ব্যবসায়ীক কারণে তিনি এলাকায় থাকেন না বললেই চলে। জেলা পরিষদের মাসিক ও সমন্বয় মিটিং ছাড়া তাকে পাওয়া কষ্টকর। অপর একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই সৈয়দ শামীম এলাকায় থেকেও কোন তৎপরতা নেই। পৌরসভার মেয়র হবিগঞ্জের বাসিন্দা। মাধবপুরের ভোটার হলেও তার কার্যপরিধি হবিগঞ্জ কেন্দ্রীক।
হবিগঞ্জ সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা কর্তৃক একদিন জীবানুনাশক বিষ ছিটিয়ে পৌরবাসীর প্রতি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান মজিব উদ্দীন তালুকদার ওয়াসীম এলাকায় থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। অপরজন অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার হেলেন আইনী পেশার কারণে ঢাকার বাসিন্দা।
এলাকায় তাকে কমই পাওয়া যায়। জগদীশপুর ও চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম ও আপন মিয়া সতর্কতার জন্য মেম্বাদের নিয়ে কয়েকটি সচেতনতামূলক সভা করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলদের অধিকাংশ গাছাড়া ভাব নিয়ে দায়িত্বপালন করছেন।
জনপ্রতিনিধিরা প্রায় সবাই বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার অথচ জনগণের সুখ-দুঃখে একসঙ্গে থাকা এবং কাজ করার অঙ্গীকার দিয়ে তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন আরও নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও ওসবের কোনো বাস্তবায়ন ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, মাধবপুরে করোনায় আক্রান্ত কোন রোগী নাই। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৭৩ জন। ৮১ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন।