করোনার খবর জানে না চরবাসী
কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ৮:০১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২০
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আতঙ্কের এক নাম করোনা ভাইরাস। যার প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে। দেশে ভাইরাসের বিস্তার রোধে হাটবাজারে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু লামনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি জনসচেতনতার বার্তা।
ফলে চরাঞ্চলের মানুষ জানেন না করোনাভাইরাস কি, কিভাবে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন শব্দের সঙ্গেও তারা পরিচিত নন একেবারেই।
চরের বাসিন্দারা জানান, শহরের হাটবাজারে গেলে শোনা যায় করোনা ভাইরাসের কথা। কিন্তু এ ভাইরাস ঠেকাতে কি করতে হবে বলেনি কেউ।
সরেজমিন দেখা গেছে, লোকমুখে করোনা ভাইরাসের কথা শুনে চরবাসী আতঙ্কে রয়েছেন। তবে জানেন না ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধের উপায়। এ ভাইরাসের বিস্তার রোধের উপায় না জানায় চরবাসী যেমন খুশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, শহরের বাসিন্দাদের মতো চরাঞ্চলের মানুষকেও করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতন করতে হবে। না হলে চরাঞ্চলেও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার আগেই তাদের খাদ্য নিশ্চিত করে চলাফেরা বন্ধ করে দিতে হবে। না হলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।
তিস্তা চরাঞ্চলের ছবির মিয়া খোলা বলেন, ‘হামরা ভাইরাস কি জানি না। ভাইরাস যদি হামাক আক্রমণ করে তাহলে কি করমো। চরাঞ্চলের রাস্তা নাই দ্যাখই তারা অ্যাত্তি আসে না। তাইলে কি, হামরা মরি যামো?’
ভোটমারী এলাকার আব্দুল রহমান জানান, চরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে কিছু বোঝে না। তারা জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে ছুটে চলছেন। চরবাসীকে সচেতন করতে না পারলে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার নিতে পারে।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। শিগগিরই চরাঞ্চলের মানুষদেরও তারা সচেতন করে তুলবেন।