ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী নির্দেশনা

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়েছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ওপর। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঘরে থাকার, নিয়ম মেনে চলার। বস্তুত সরকারি নির্দেশনা মেনে চললেই বিদ্যমান এ মহামারি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সবারই উচিত, এখন নিজ নিজ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। নিজে সুরক্ষিত থাকলেই নিরাপদ থাকবে দেশ। এটা কোনো ‘একক’ ব্যাধি নয়। গতকাল ছিল স্বাধীনতা দিবস। এবারকার স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসী ঘরেই থাকতে বাধ্য হয়েছে। ফলে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ মেলেনি। এমন স্বাধীনতা দিবস এর আগে কখনো আসেনি বাংলাদেশে। তবুও জাতি আশায় বুক বেঁধে আছে, এবার যেটা করা যায়নি, আগামী বছর সেটাই করা যাবে নির্বিঘেœ। একাত্তরের শহীদ স্মরণে দেশবাসী শ্রদ্ধা জানাবে তাদের পুণ্যস্মৃতির উদ্দেশে।

ভাষণে করোনা ভাইরাসের ফলে তৈরি হওয়া সংকটময় সময়ে ধৈর্য্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তাভাবনার বিলোপ ঘটায়। করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই আতঙ্কিত হবেন না। আমি জানি আপনারা এক ধরনের আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যাদের আত্মীয়-স্বজন বিদেশে রয়েছেন, তারাও তাদের নিকটজনদের জন্য উদ্বিগ্ন রয়েছেন। সবার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। কিন্তু এই সংকটময় সময়ে আমাদের ধৈর্য্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশ মেনে চলতে হবে।

যারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে স্বদেশে ফিরেছেন, প্রবাসীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেনÑ আপনাদের হোম কোয়ারেন্টাইন বা বাড়িতে সঙ্গনিরোধসহ যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। মাত্র ১৪ দিন আলাদা থাকুন। আপনার পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী, এলাকাবাসী এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এসব নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন। কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সহজ হবে। ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নেবেন। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। যতদূর সম্ভব ঘরে থাকবেন। বাইরে জরুরি কাজ সেরে বাড়িতে থাকুন। মুসলমানরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও ঘরে বসে প্রার্থনার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই কয়েকদিনে সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে আগে থেকেই নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস বেশ প্রাণ-সংহারী হয়ে উঠেছে। সেজন্য পরিবারের সবচেয়ে সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দিন। তাকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। তাকে ভাইরাসমুক্ত রাখার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করুন। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী এ নির্দেশনা মেনে চলাই হোক সবার অঙ্গীকার। স্বপ্নের স্বদেশ গড়ার অনেকটা পথ এখনো বাকি। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ, নিরোগ থাকা বাঞ্ছনীয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper