ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গুরুদাসপুরে পাঁচ ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্ঠা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি  
🕐 ৩:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২০

নাটোরের গুরুদাসপুরে পাঁচ ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গুলজার হোসেন নামে একজন দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। এমনকি উচ্ছেদ পাঁয়তার জন্য পরিবারগুলোকে নানাভাবে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-চাপিলা গ্রামে।

এদিকে, গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পানীয়জলের একটিমাত্র টিউবয়েলের মাথা ভেঙে ফেলা মাটি ফেলা শুরু করেছেন ওই দলিল লেখক গুলজার হোসেন। নিজেদের নিরাপত্তা ও উচ্ছেদ হওয়ার ভয়ে পরিবারগুলো থানায় অভিযোগ দিতে পারছেনা পরিবারগুলোর মানুষ।

ভুক্তভোগী দুলাল আকন্দ ও বেলার হোসেন অভিযোগ করেন, ১৬৫০ দাগের একটি খাস জায়গায় গড়ে উঠেছে ‘ বৃ-চাপিলা এবতেদায়ী স্বতন্ত্র মাদ্রাস’। ওই দাগের শেষ ভাগে তারা পাঁচটি পরিবার বসবাস করছেন। সেটা  ৫০ বছরেও বেশি সময় ধরে।

দিন আনে দিন খায় অবস্থায় কোন রকমে বেঁচে থাকেন তারা। একারণে জমি কিনে বসবাস করার সামর্থ হয়ে ওঠেনি। এত বছর পর এসে দলিল লেখক গুলজার হোসেন জায়গাটি তার বলে দাবি করে তাদের পরিবারগুলো উচ্ছেদের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। গত দুইমাস ধরে তাদের ভয়ভীতি ও হয়রানী করা হচ্ছে।

গুলজার হোসেনের ভয়ে পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে ভয়ে জীবন যাপন করছেন তারা। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার তাদের বসত ঘর সংলগ্ন জায়গায় মাটি ভরাট শুরু করেছেন। ভেঙে ফেলেছেন পানীয় জলের একমাত্র টিউবয়েলটিও। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান সরকারকে বলেও কাজ হয়নি।

গুলজার হোসেন দাবি করে বলেন, তার বাপ-দাদারা পরিবারগুলোকে বসবাসের জন্য জায়গা দিয়েছিলেন। সেটা প্রায় ৬০ বছর আগে। এখন নিজেদের প্রয়োজনে জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের বলা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগটি সত্য নয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান সরকার বলেন, সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করছেন পরিবারগুলো। এনিয়ে দুই দফা শালিশী বৈঠক বসলেও জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দলিল লেখক গুলজার হোসেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

 
Electronic Paper