কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে ফেরা
সেখ সাকির হোসেন, বাগেরহাট
🕐 ১১:০০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২০
বাগেরহাটে শেখ রাকিব (১৫) নামের এক কিশোর খানজাহান আলী দিঘী’র ঘাটে গোসল করতে নেমে কুমিরের হামলার শিকার হয়েছে। নিজের বুদ্ধিমত্তায় কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে কুমিরের মুখ থেকে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।
রাকিব বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজার সংলগ্ন রনবিজয়পুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। সে কে আলী দরগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সোমবার (১৬ মার্চ) মাজারের ঘাটে গোসল করতে নামলে একটি কুমিরের অতর্কিতে তার ওপর আক্রমণ চালায়। তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।
হাসপাতালে সে জানায়, সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে খানজাহান আলী দিঘীর ঘাটে সিঁড়িতে বসে গোসল করছিলাম। হাত-পা ও শরীরে পানি দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি কুমির এসে আমার ডান পা কামড়ে ধরে গভীর পানিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি জীবন বাঁচাতে কুমিরের চোখ, নাখসহ মাথায় এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে শুরু করি। এক পর্যায়ে কুমিরটি আমার পা ছেড়ে দেয়। আমি দ্রুত উপরে উঠে আসি।
রাকিবের বোন জাকিয়া বলেন, দুপুরে প্রতিদিনের মতো বন্ধুদের সাথে মাজারে গোসল করতে যায় রাকিব। সেখানে কুমির তাকে আক্রমণ করে। আল্লাহ আমার ভাইকে বাঁচিয়েছেন।
রাকিবের বন্ধু তাহছিন ফকির বলেন, গোসল করার সময় রাকিবকে কুমিরটি আক্রমণ করে। অনেক ধস্তাধস্তির পরে সে উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়। এ সময় অনেক লোক জড় হয়। পরে আমরা রাকিবকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তাহছিন আরও বলেন, বড়দের মুখে শুনেছি, এখন কুমিরের ডিম পাড়ার সময়। আর ডিম পাড়ার সময় কুমির একটু হিংস্র হয়ে যায়। তাই হয়তো কুমিরটি রাকিবকে আক্রমণ করেছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহান আতিক বলেন, দুপুরে কুমিরের আক্রমণে আহত এক কিশোর হাসপাতালে আসেন। কুমিরের কামড়ে তার ডান পায়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়েছে। আমরা তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়েছি। রাকিব এখন শঙ্কামুক্ত।