ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা

অসাধুরা যেন সুযোগ না নেয়

সম্পাদকীয়
🕐 ৭:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২০

অসাধু ব্যবসায়ীরা বরাবরই বিভিন্ন সময়ে সুযোগ নিয়েছে। মানুষকে জিম্মি বানিয়ে, ক্ষেত্রবিশেষে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মুনাফা লোটে অসাধু চক্র। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। এ সংকটকালে যেখানে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত, উল্টো একশ্রেণির ব্যবসায়ী মানুষকে জিম্মি করে অনৈতিকভাবে মুনাফা লুটতে চাইছে। এ বিষয়ে সমালোচনাও হচ্ছে সারা দেশে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সাধারণ জনগণ দোকানে পণ্য কিনতে গিয়ে বাড়তি দাম দিতে অনেকটাই বাধ্য হচ্ছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যের বাড়তি দাম ঠেকাতে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সাতটি টিম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, এ মুহূর্তে সাধারণ মানুষজনের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা করোনা প্রতিরোধের জন্য নানা ধরনের পণ্য কিনছেন। এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী গলা কাটা দাম নিচ্ছেন। শুরুর দিন থেকেই মহাপরিচালকের নির্দেশ ছিল, যারা মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন পণ্যগুলোর সংকট দেখিয়ে দাম বেশি নেবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা গুলশানে দুটি ফার্মেসিকে সিলগালা করা হয়েছ। অসাধু ব্যবসায়ীদের সেদিন আমরা সতর্ক বার্তা দিয়েছিলাম। আমাদের কাছে অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন। আমাদের ফেসবুক পেজে অনেকেই জানাচ্ছেন, দাম বেশি নিচ্ছে অনেক ব্যবসায়ী। সেজন্য আমরা অভিযানে নেমেছি। সাতটি টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাবে।

গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বেড়ে যায় মাস্ক ও স্যানিটাইজারের চাহিদা। অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। পরে আদালতের এক নির্দেশে রাজধানীজুড়ে শুরু হয় বিশেষ অভিযান। ফার্মেসি, সুপারশপসহ বিভিন্ন কারখানায় এ অভিযান চলছে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে র‌্যাব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ওষুধ প্রশাসন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা মাঠে কাজ শুরু করে। বিক্রেতারা বলছেন, হেক্সিসল, স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন জীবাণুনাশক বাজারে ছাড়ছে না কোম্পানিগুলো। বিশেষ করে এসিআই, এসকে ফার্মা, স্কয়ার, অ্যারিস্টো-ফার্মা এসব জীবাণুনাশক তৈরি করে থাকে। বারবার অর্ডার দেওয়ার পরও মার্কেটিংয়ের লোকেরা বলছেন সাপ্লাই নেই। অনেক সময় চাহিদার তুলনায় কম পাচ্ছেন তারা।

ভোক্তা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার আরও জানান, আমরা রাজধানীর গুলশান, ফার্মগেট, তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে তিনটি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে র‌্যাবের পক্ষ থেকেও রাজধানীতে অভিযান চালছে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, মিটফোর্ডে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানে মাস্ক ও স্যানিটাইজার মজুদ রাখার অভিযোগ মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানীতে অভিযান চলছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টরা যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়। মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি সরকারের বিশেষ বাহিনীও পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভূমিকা নেবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper