যে পথে প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি লাভ
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০২০
এই মহাবিশ্বের জন্য আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তাআলা কতগুলো নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছেন-যেগুলোকে আমরা সুন্নাতুল্লাহ বলি। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, মহাবিশ্বের সমগ্র বস্তুজগতকে এসব নিয়ম মেনে চলতেই হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধুম্র বিশেষ। এরপর তিনি ধুম্রকে এবং জমিনকে বললেন- তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা আসলাম অনুগত হয়ে।’ সূরা হামীম সিজদাহ, আয়াত:১১
এছাড়া প্রাণীজগতের অধিকাংশেরও আল্লাহর বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে বেছে নেওয়ার তেমন কোন ক্ষেত্র নেই। অথচ, সবচেয়ে স্বতঃসিদ্ধ যে ব্যাপারটা, সেটাই তিনি আপাতদৃষ্টিতে বেঁধে দেন নি; কেবল তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলেই জীবনে শান্তি, সমন্বয়, প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারবে মানুষ। তাকে দেখে বোঝা যাবে যে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমের সূরা ত্বীনে তাঁর কথাই বলেছেন। ‘আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি উত্তম আকৃতিতে।’ সূরা ত্বীন, আয়াত:৫
তথাপি ব্যাপারটা তিনি বেঁধে না দিয়ে মানুষকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। অন্যথায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে না পারলে অতৃপ্তির গোলক ধাঁধায় জীবনকে আকণ্ঠ পান করার অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে নিজেকে ক্ষয় করতে করতে মানুষ এক সময় নিঃশেষ হয়ে যাবে, সুধা ভেবে গরল গলধঃকরণ করতে করতে নিজেই এক সময় বিষাক্ত নীল হয়ে যাবে।
সে যেদিকে তাকাবে, চাইনিজ উপকথার ড্রাগনের মত তার নিঃশ্বাসের উত্তাপে, বিষবাষ্পে সব জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে। একটু ভেবে দেখলেই যে কেউ তা বুঝতে পারবেন যে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে সূরা ত্বীনের ষষ্ঠ আয়াতে এ ধরণের মানুষের কথাই বুঝিয়েছেন।
তিনি বলেছেন- ‘অতঃপর আমি তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছি নিচতমদেরও নিচে।’ সূরা ত্বীন, আয়াত:৬