ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

১৬ বছর পর জিম্মিদশা মুক্ত

শহীদনূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ
🕐 ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৭, ২০২০

দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রভাবশালীর খপ্পর থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও চলাচলের রাস্তা উদ্ধার করেছে সুনামগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। গত বৃস্পতিবার পৌরসভার ষোলঘর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘদিন পরে চলাচলের রাস্তা উদ্ধার করায় স্বস্তি ফিরে এসেছে স্থানীয়দের মাঝে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে শতাধিক পরিবার।

জানা যায়, প্রায় দুই যুগ আগে পৌরসভার শতাধিক পরিবারের চলাচল ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে বড় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে ষোলঘর থেকে কাজির পয়েন্ট পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ করে স্থানীয়দের চলাচল রাস্তা করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। ১৬ বছর আগে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে ড্রেনের উপর বাড়ির সীমানা দেয়াল ও টয়লেট নির্মাণ করে রাস্তাটি দখলে নেন ষোলঘর এলাকার মানিক মিয়া। ড্রেন ও রাস্তা দখলের পর স্থানীয়রা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করে আসলেও ড্রেন উদ্ধার করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। ড্রেন দখলে যাওয়ায় চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় শতাধিক পরিবারের। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতে ড্রেন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা।

গত বছরের শুরু থেকে প্রভাশালীর খপ্পড় থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ এ ড্রেনটি উদ্ধারের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করে আসছিলেন ভোক্তভোগীরা। ড্রেন উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত আবেদনও করেন তারা। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ও জাতীয় প্রত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।

সম্প্রতি বিষয়টি আমলে নিয়ে ড্রেন উদ্ধার করতে নোটিশ করলেও অবৈধ দখলদার বিষয়টি কর্ণপাত না করায় কঠোর অবস্থানে যায় পৌর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বোল্ডোজারের সাহায্যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ড্রেন ও রাস্তা উদ্ধার করে পৌর কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হলেও উৎসুক জনতার চোখে মুখে ছিল স্বস্তির ছাপ। দীর্ঘদিন পর রাস্তা উদ্ধার করে দেওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা।

সোনালী বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দীর্ঘ বছর ধরে পৌরসভার ড্রেন ও চলাচলের রাস্তা দখল করে টয়লেট নির্মাণ করেন প্রভাবশালী মানিক মিয়া। এজন্য শতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ ছিল। এখন জিম্মিদশা থেকে আমরা মুক্তি পেলাম।

সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশ পাঠিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ড্রেন উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া ওই ব্যক্তি অবৈধভাবে পৌরসভার ড্রেন দখল করে দেয়াল টয়লেট নির্মাণ করেন। যার ফলে অনেক পরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল।

 
Electronic Paper