ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইটভাটার ধোঁয়ার ঝুঁকিতে দেড় হাজার শিক্ষার্থী

ইকবাল হোসেন সুমন, নোয়াখালী
🕐 ২:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০

নোয়াখালী জেলার সদর পশ্চিমাঞ্চলে চরমটুয়া ডিগ্রি কলেজের পাশেই গড়ে উঠা ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর জীবন।

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, ধুলা বালিসহ ট্রাক্টরের বিকট আওয়াজে প্রতিদিনই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে তারা ভাটা অপসারনে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী কৃষি জমি, আবাসিক, সংরক্ষিত বাণিজ্যিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কিলোমিটনার, বনাঞ্চল থেকে ২ কিলোমিটার এবং ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। তাছাড়া ইটভাটার চুল্লির মাপ, কয়লা ব্যবহার ও শিশুশ্রমের বিষয়েও আইনে উক্ত আইনে বলা আছে। কিন্তু এসব আইনের তোয়াক্কা না করে এএমবি নামে এ ভাটায় ইট প্রস্তুত ও বিক্রি করছেন  চর মটুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাবলু।

জেলা প্রশাসক অফিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীতে ১৬০টি ইটের ভাটার মধ্যে ৬৪টি ভাটা অবৈধ তালিকাভুক্ত হিসেবে রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৬ সালে এ ভাটার নবানয়ন বন্ধ করে অপসারনের জন্য নির্দেশ দেয়। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিডি মো. সেরাজুল ইসলাম বলেন, এ ভাটা অপসারনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভাটা সম্পূর্ণ বন্ধের ব্যাপারে আমাদের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের বিভাগীয় অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারেন।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, অনেক নোটিশ করেও অবৈধ ইটের ভাটা থামানো যায়নি। তাই এইসব অবৈধ ইটের ভাটা বন্ধ করা এবং শৃঙ্খলায় আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে ইট ভাটা করে ফসলি জমি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ধ্বংস করতে দেয়া হবে না।

 
Electronic Paper