ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সিএএ নিয়ে দিল্লিতে এখন পর্যন্ত সহিংসতায় নিহত ৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ৮:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সহিংসতা থেকে হিন্দু বা মুসলমান, কারওই কোনও ফায়দা হবে না।

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪-এ। আহত হয়েছেন ২০০-রও বেশি। টানা চারদিন ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর, কারাওয়ালনগরে।

অন্যদিকে, সোমবার সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে টানা তিনদিন নিশ্চুপ থাকার পর বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে ‘শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব’ বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানান। তিনি লেখেন, আমার ভাই ও বোনেদের দিল্লিতে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায়ের আবেদন জানাচ্ছি। শান্তি ও সম্প্রীতি আমাদের নৈতিকতার কেন্দ্রস্থল।

যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফেরানোর আবেদন জানান মোদী।

এপর্যন্ত দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছে তারা। বুধবার শহরের বিভিন্ন আক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পুলিশের সঙ্গে জাফরাবাদে আসার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ, এখানে শান্তি ফিরবে।

এদিকে, বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানান। তিনি জানান, এই সহিংসতা থেকে হিন্দু বা মুসলমান, কারওই কোনও ফায়দা হবে না। কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লির কাছে এখন দু’টো অপশন রয়েছে। হয় মানুষ একজোট হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করুক। অথবা একে অপরকে আঘাত করে হত্যা করুক।

তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করার আবেদন জানালেও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও তাতে সম্মত হয়নি।

এদিকে, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী বলেছেন, এই সহিংসতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিৎ পদত্যাগ করা। পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও আক্রমণ করেন তিনি। দিল্লির হিংসার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য উভয় সরকারকেই দায়ী করেন তিনি।

বুধবার সকাল থেকেই তৃতীয়দিনের মতো উত্তাল ছিলো দিল্লি। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও তার তেমন প্রভাব সেখানে পড়েনি। যদিও ‘শ্যুট অ্যাট সাইট’ জারি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।

 
Electronic Paper