ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঘুমের আগে কয়েকটি আমল

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৫, ২০২০

ঘুম মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি বিশাল ইহসান। এর মাধ্যমে বান্দা আগের দিনের সমস্ত ক্লান্তি মুছে নতুন দিনের জন্য কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে। আমাদের ঘুম হয়ে উঠবে ইবাদত, যদি তার আগে ও পরে থাকে কিছু নেক আমল। সাহাবী হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বলতেন-‘আর আমি (রাতে) ঘুমাই এবং নামাযে দাঁড়াই, আমি আমার ঘুমকেও ইবাদত গণ্য করি, যেভাবে ইবাদত গণ্য করি জাগ্রত থেকে নামাজ আদায়কে।’ [বুখারী, হাদিস নং:৩৯৯৮]

নিম্নে হাদিস থেকে সংগৃহীত ঘুমানোর আগে কিছু দোয়া পেশ করা হল, যেগুলো পাঠে তা হবে আমাদের জন্য রাতের নিরাপত্তা, এবং সেইসঙ্গে ঘুমের অন্যান্য আদব ও সুন্নতগুলো পালনে আমাদের ঘুম হয়ে উঠবে ইবাদত। এক. আয়াতুল কুরসি পড়া।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন-‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে রমজানের ফিতরা সংরক্ষণের দায়িত্ব দিলেন। কোনো এক আগন্তুক আমার কাছে আসল এবং অঞ্জলি ভরে খাবার (চুরি) সংগ্রহ করতে লাগল।... এরপর পূর্ণ হাদিস বর্ণনা করেন। -তাতে আছে- আগন্তুক তাকে বলল : তুমি যখন তোমার বিছানায় যাবে তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে, কেননা এর মাধ্যমে সর্বক্ষণ তোমার সঙ্গে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকরী থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে ঘেঁসতে পারবে না।

রাসূল (সা.) বললেন, তোমাকে সত্য বলেছে যদিও সে বড় মিথ্যাবাদী। সে হচ্ছে শয়তান। [বুখারী, হাদিস নং: ৩০৩৩] দুই. সূরা এখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়া। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন : ‘নবীজি (সা.) যখন প্রতি রাতে নিজ বিছানায় যেতেন দুই হাতের কবজি পর্যন্ত একত্রিত করতেন অতঃপর তাতে ফুঁ দিতেন এবং সূরা এখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়তেন। অতঃপর দুই হাত যথা সম্ভব সমস্ত শরীরে মলে দিতেন। মাথা, চেহারা এবং শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। এরূপ পরপর তিনবার করতেন।’ [তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৩২৪] ৩. ঘুমের দোয়াটি পড়া।

 

 
Electronic Paper