তানভীর স্বপ্ন দেখেন শোষণ, দারিদ্র, দুর্নীতি মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলায় সব কিছুর উর্ধে মানুষ মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকবে। তার লালিত স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সেচ্ছাসেবী হিসেবে যেমন সফলতার সাথে কাজ করছেন তেমনি একজন তরুন সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।

কাজ করছেন দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন ‘ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে। এ সংগঠনের হয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ৪০ টি জেলায় ৩৮ হাজারের ও বেশী সেচ্ছাসেবীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশের তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের স্বনির্ভর করার অংশ হিসেবে দেশের ২০ টি জেলায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বিউটিফিকেশন এবং পার্লার ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং এর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতেও কাজ করে যাচ্ছে এই তরুণ। দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘উত্তরণ পাঠশালা’। বর্তমানে ২৪ জন পথশিশু সেখান থেকে তাদের মৌলিক শিক্ষার চাহিদা পূরণ করছে। দেশের দুর্গম চরাঞ্চল সিরাজগঞ্জ এর বড়ধুল, চৌহালি ও শাহজাদপুরে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় যুবকদের নিয়ে শিশু অধিকারে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপি পরিচালিত জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এর ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ কর্মসূচিও দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলা ও উপজেলায় সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করে আসছে।

দেশের সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষনিক ত্রাণ ও পুর্নবাসনেও তিনি তার মানবিক দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিয়েছেন। মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামনের কাতারে থেকে প্রতিহত করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মুমূর্ষু ও থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের রক্তের চাহিদা মেটাতে সারাদেশব্যপী কাজ করে যাচ্ছেন দেশের সর্ববৃহৎ রক্তদাতাদের সংগঠন বাংলাদেশ ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এর কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে। এছাড়াও উপদেষ্টা হিসেবে আছেন বানান শুদ্ধকারী বাশু, কিআ বুক ক্লাব বেলকুচি, চেয়ারম্যান স্পেশাল এ্যাম্বাসেডর পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ, যুব সাংসদ- ইয়ুথ পার্লামেন্ট ফর এক্সপ্লোর ডিজিটাল বাংলাদেশ, টিম লিডার পরিবর্তন চাই।

দীর্ঘ আট বছরের তার এই সামাজিক কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ স্মৃতি পদক, বিজয় ফাউন্ডেশন থেকে সেরা সংগঠক ২০১৬, বাংলাদেশ ব্লাড ডোনার্স ফোরাম থেকে দেশ সেরা সেচ্ছাসেবক পদকে ভূষিত হয়েছেন।

শান্তির পথে তারুনের অংশিদারিত্ব বাড়াতে অগ্রগতির মশাল হাতে তারুনের প্রতিনিধি হয়ে মানবতার কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গড়তে চান আগামীর সোনার বাংলা। তার এই কাজে সহযোগীতা এবং সব সময় পাশে যারা প্রেরণা যুগিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।