ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শহরে শিক্ষকের আধিক্য গ্রামাঞ্চলে সংকট

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকলেও গ্রামাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে চরম সংকট। ফলে মানসম্মত শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের নিম্ন ও নিম্নমধ্য আয়ের পরিবারের সন্তানরা।

 

জেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ২৭টি পদ শূন্য রয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ৮৩৯টি পদ শূন্য রয়েছে যার অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে। জেলার আটটি পৌরসভার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর বিপরীতে অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকার কথা। এর মধ্যে পৌরসভার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে অপরিমিত, উচ্চ মাধ্যমিক সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বিপরীতে এবং আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে অতিরিক্ত শিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে জেলার শিক্ষা কমিটির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব, শহর ও গ্রামাঞ্চলের বৈষম্যের কারণে এসব এলাকার বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে চারজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও গত পাঁচ বছর ধরে আমরা তিন শিক্ষক পাঠদান করছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন, শহরের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষক যেন থাকে তা আমি জেলা শিক্ষা কমিটির সভায় আলোচনা করে দেখব। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি বিধি অনুযায়ী যেভাবে চলার কথা সেভাবেই চলতে যা করণীয় তাই করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রামঞ্চলের শিক্ষক সংকট সম্পর্কে আমার জানা আছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলাজনিত কারণে আটকে রয়েছে। খুব দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এ সংকট আর থাকবে না।

 
Electronic Paper