ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মার্কিন সিনেটরের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

ধর্মীয় স্বাধীনতা

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০

বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রশ্নে মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলির সাম্প্রতিক মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস। গত মঙ্গলবার সিনেটর গ্রাসলি দাবি করেছিলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বাংলাদেশিদের একাংশকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার বক্তব্যকে ‘পক্ষপাতমূলক ও হতাশাজনক’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

গত মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটর গ্রাসলি বলেন, ‘রাশিয়া, বাংলাদেশ ও সুদানের মতো দেশগুলোতে বসবাসরত নাগরিকদের সহায়তা করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। তারা স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছে এবং কেবল ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার গ্রাসলিকে বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্য সংশোধনের আহ্বান জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের মুখপাত্র শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সিনেটর গ্রাসলির বক্তব্য সত্যের অপলাপ; বাংলাদেশ দূতাবাস ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

গত বছর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভারতকে অন্য দেশের সঙ্গে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক দেশের’ তালিকার দ্বিতীয় শ্রেণিতে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি সুপারিশ করে মার্কিন কমিশন। সে সময় পাকিস্তানকে ওই তালিকার প্রথম শ্রেণিতে রাখতে সুপারিশ করা হয়। তবে তালিকার কোথাও বাংলাদেশের নাম সুপারিশ করা হয়নি। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটরের কাছ থেকে এমন বিবৃতি আসায় বিস্মিত দূতাবাস কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার শামিম আহমেদ বলেন, ‘দূতাবাস পরিষ্কার ভাষায় বলছে, মার্কিন সিনেটর গ্রাসলির মন্তব্য শুধু পক্ষপাতমূলকই নয় বরং এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও। স্পষ্টত, তার বিবৃতি ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি মার্কিন কমিশনের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

শামিম আহমেদ বলেন, ‘মার্কিন সিনেটর গ্রাসলিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা। আমাদের দেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতি, উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিজ চোখে দেখে যেতে তাকে আমরা আমন্ত্রণ জানাই।’

সিনেটর চাক গ্রাসলি হলেন সিনেটের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কমিটির চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে এই আইনপ্রণেতা ট্রাম্প প্রশাসনের চতুর্থ শীর্ষ ব্যক্তি।

 
Electronic Paper