তরুণদের প্রাধান্য দেয় ‘টাঙ্গন’
অজয় কুমার রায় প্রকাশক, টাঙ্গন
🕐 ১২:১৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
সৃজনশীল প্রকাশনা ‘টাঙ্গন’ যাত্রালগ্নে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সৃজন-মননের চর্চার ক্ষেত্রে কোনো আপস করবে না। সে লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রকাশক হিসেবে পরিকল্পনা সাজায়। গত বছর ২০১৯-এর বইমেলা থেকেই টাঙ্গনের স্টল থাকছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। আমাদের পরিকল্পনা ও কৌশল অনুযায়ী এ বছরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশ করেছি। প্রকাশক হিসেবে ভাবনায় থাকে দেশের প্রতিভাবান তরুণ প্রজন্মকে পাঠ ও লেখার ভেতরে এনে দেশ-জাতির উন্নতি সাধন।
প্রকাশনা শিল্পের একজন তরুণ প্রকাশক হিসেবে এটাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মনে করি। সে ধারাবাহিকতায় এবার তরুণ কথাশিল্পী রণজিৎ সরকারের ‘প্রেমভূমির নিমন্ত্রণলিপি’ ও চার্বাক সুমনের ‘চার্বাক’, উপন্যাস, প্রতিশ্রুতিশীল কবি জিল্লুর রহমানের ‘এই জলে এই জ্যোৎস্নায়’, নিরঞ্জন রায়ের ‘নদীজলে কুহক ছায়া’, বঙ্গ রাখালের ‘যৈবতী কন্যা ইশকুলে’, ও মাজহারুল ইসলাম সরকারের ‘নিঃশব্দে শব্দ’, কবিতাগ্রন্থ; গবেষক আজহারুল আজাদ জুয়েলের ‘মুক্তিযুদ্ধোত্তর দিনাজপুর ট্রাজেডি’, অনুপ সাদির সম্পাদনায় ‘ভি. আই. লেনিনের সাহিত্য প্রসঙ্গে’ গবেষণাগ্রন্থ; অরুণ কুমার বিশ্বাসের কিশোর গ্রন্থ ‘অন্তু হারিয়ে গেল’, সাজ্জাক হোসেন শিহাবের শিশুতোষ ছড়া ‘দুষ্টু কোলা ব্যাঙ’, ও বিধান দত্তের স্যাটায়ারধর্মী ছড়াগ্রন্থ ‘বিধানের ছড়াগুলি’ প্রকাশ করেছি। আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই ‘টাঙ্গন’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশনার ক্ষেত্রে যে তরুণ ও প্রতিভাবানদের প্রাধান্য দেয় টাঙ্গন। এর বাইরেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ লেখক-কবিদের অন্তর্ভুক্তি- কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বিমল গুহ, অধ্যাপক ডা. ফজলুল হক ও আখতার জাহান শেলীর মতো অগ্রজদেরও বই প্রকাশ করেছি।
নির্ভুল বই করার চেষ্টা করি। যদিও শতভাগ এখনও সফল হইনি; কিন্তু নির্ভুল বই প্রকাশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আগামীতে টাঙ্গনের প্রকাশক হিসেবে প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতা পালনের আপ্রাণ চেষ্টা করব। দেশ-জাতি গঠনে যে চিন্তার বিকাশ ও প্রতিফলন তা সমাজে ছড়িতে দিতে ‘টাঙ্গন’ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।