মাঠজুড়ে সূর্যের হাসি
বিপ্লব হোসেন অপু, তারাগঞ্জ (রংপুর)
🕐 ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
সূর্যমুখী ফুল চাষে ভালো ফলনের আশায় দিন পার করছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কৃষক। ধান পাট গম আলু রবি শস্য ও শাক-সবজির চেয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলছে সূর্যমুখী। এ উপজেলায় পুনর্বাসন ও উদ্বুদ্ধকরণে অল্প খরচে এবং স্বল্প সময়ে সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাষিরা সূর্যমুখী ১০০-১১০ দিনের মধ্যে উৎপাদনমুখী হাইসান ৩৩ ও বারী-০২ জাতের উন্নত মানের বীজ পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন। এতে শতকরা ৪০-৪৫ পরিমাণ তেল রয়েছে। চলতি অর্থবছরে স্বল্প খরচে অধিক লাভের জন্য প্রায় ২০ জন কৃষক মোট ৭ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি ১৬০০ কেজি বীজ উৎপাদন ও কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা বাজার মূল্যের সম্ভাবনা রয়েছে।
চাষি আরিফ হোসেন বলেন, সয়ার ব্লকে আমি নিজেই কয়েকটি প্রশিক্ষণ নিয়েছি। সরকারি সার ও বীজ পেয়েছি। শাক-সবজি ও রবি-শস্যের চেয়ে কম সময়ে বেশি আয় সূর্যমুখি চাষেই সম্ভব। সূর্যমুখী চাষে এত ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে তা ভাবতে পারিনি। চাষি অহিদুল মিয়া বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়েছি সরকারি সার বীজ পেয়েছি। ঠিক সময়ে রোপণ করেছি। কিন্তু কম সময়ে বেশি আয় তা কেবল সূর্যমুখী চাষে সম্ভব।
এসএএও মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আমার ব্লকে তিনটি প্রদর্শনী প্লট আছে। চাষিদের সারাক্ষণ তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছি। সেটি এত ভালো হবে- আগে আশা করিনি। কৃষি অফিসার অশোক কুমার রায় খোলা কাগজকে বলেন, উপজেলায় এ বছরই প্রথম চাষ শুরু হয়েছে সূর্যমুখী। কৃষি বিভাগের সবাই আনন্দের সঙ্গে চাষিকে প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
উপ-পরিচালক ড. মো. সরওয়ারুল হক বলেন, সূর্যমুখী ফুল থেকে যে ভোজ্য তেল পাওয়া যাবে, তা ক্লোস্টেরল ফ্রি এবং স্বাস্থ্যসম্মত। চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আগামী অর্থবছরে দ্বিগুণ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার পদক্ষেপ নিলে সূর্যমুখী দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করাও সম্ভব।