জ্ঞানচর্চা ও ঐতিহ্যের পাঠাগার
খুলনার ‘জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’
জামাল হোসেন
🕐 ১:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার ১৯৬৪ সালে খালিশপুর থানার বয়রা এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশে একটি দোতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করে। এটির আয়তন প্রায় আড়াই একর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজ, সরকারি বয়রা মহিলা কলেজ, সরকারি আজম খান কমার্স কলেজ, সরকারি এমএম সিটি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষ গণগ্রন্থাগারটি পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করছেন। এর আওতায় ১০টি জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বই আদান-প্রদান, সংরক্ষণসহ সকল কার্যক্রম এখনও সনাতন পদ্ধতিতে চলছে। নষ্ট হচ্ছে অনেক বই। ক্যাটালগে বই আছে অথচ বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গবেষক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ লাইব্রেরি ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। লাইব্রেরির বহু বই পুরাতন হওয়ায় মলাটের নাম মুছে গেছে। ফলে প্রয়োজনীয় বই খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না। এ লাইব্রেরিতে প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ শত পাঠক-পাঠিকার উপস্থিত থাকে।
সব শ্রেণির মানুষ সরকারি এ গণগ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারেন বলে এটিকে ‘জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’ বলা হয়। এখানে রয়েছে শিশু-কিশোর বিভাগ, রেফারেন্স বিভাগ ও সাধারণ বিভাগ। সাহিত্য, বিজ্ঞান, গবেষণা, ইতিহাস, কাব্যগ্রন্থ, সাধারণ জ্ঞান, ধর্মীয় গ্রন্থ ও সাধারণ গ্রন্থসহ বিভিন্ন বিষয়ের এক লক্ষ চল্লিশ হাজার বই। এছাড়া এখানে জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিক পত্র-পত্রিকা রাখা হয়। প্রশাসনিক কার্যক্রমও পরিচালিত হয় এখান থেকে।
খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক বিভাগীয় সরকারি ড. মো. আহছান উল্যাহ্ বলেন, জনবল বেশি থাকলে সেবার মান আরো বাড়ত। গণগ্রন্থাগারের সমস্যাগুলো নিয়ে লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এরই মধ্যে ভবনের স্থাপত্য নকশার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।