ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মনোসংযোগ বাড়াবে ভ্রামরী প্রাণায়াম

লাইফস্টাইল ডেস্ক
🕐 ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০

প্রাত্যহিক জীবনে আমরা এতবেশি কাজে ও চাপে থাকি যে ঠিকঠাক মনোসংযোগ করে একটি কাজ সুসম্পন্ন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। এক কাজের মধ্যে আগের কাজের রেশ কিংবা আরও অন্য কাজের টেনশন প্রভাব ফেলে। ফলে মাথাব্যথা, মানসিক অস্থিরতা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও পিছু নেয়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে প্রাণায়াম।

 

প্রতিটি প্রাণায়ামেই মনোসংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি মনোসংযোগ করে প্রাণায়াম। ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং দূষিত রক্ততে পরিশোধন করে আপনার দেহকে করে তুলবে আরও সজীব। আর এর মাধ্যমেই আপনার মনকে বাইরের দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত করে দেবে অনাবিল প্রশান্তি।

ভস্ত্রিকা, অনুলোম-বিলোম বা নাড়ীশোধন ও ভ্রামরী প্রাণায়াম মনোযোগ বৃদ্ধি ও মানসিক প্রশান্তির জন্য প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে। আজ জেনে নিন ভ্রামরী প্রাণায়ামের মাধ্যমে কীভাবে প্রশান্তি লাভ করবেন।

প্রাণায়াম করার সময় ভ্রমরের মতো গুঞ্জন করতে হয় বলে প্রাণায়ামটির নাম ভ্রামরী।

প্রক্রিয়া:

১. সুখাসন, পদ্মাসন বা সিদ্ধাসনে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। চেয়ারে বসেও মেরুদণ্ড সোজা করে স্থির হয়ে এই প্রাণায়াম করা যেতে পারে

২. দুই হাতের দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দুই কানের ছিদ্রপথ বন্ধ করতে হবে। বাকি চারটি আঙুল দ্বারা মুখমণ্ডলের চারটি স্থান স্পর্শ করতে হবে

৩. তর্জনী দুই চোখের উপরিভাগে আলতোভাবে স্পর্শ করে রাখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেন চোখের ওপর বেশি চাপ না পড়ে
৪. মধ্যমা দু’টি দুই চোখের পাতাকে আলতো করে চেপে রেখে নাকের ওপরের অস্থিকে স্পর্শ করবে

৫. অনামিকা রাখতে হবে ওপরের ঠোঁট ও নাকের মাঝামাঝি
৬. কনিষ্ঠা রাখতে হবে নিচের ঠোঁট ও থুতনির মাঝে

৭. এবার নাক দিয়ে ভ্রমরের মতো গুঞ্জন করুন। অনেকটা মুখ বুজে পড়া মুখস্ত করার সময় যেমন গুঞ্জন করা হয়, সেরকম।

৮. গুঞ্জনটা যথাসম্ভব জোরালো হবে। মুখ বন্ধ থাকবে। শুধু নাক দিয়ে শব্দকম্পন তৈরি করতে হবে

৯. অনুভব করতে পারবেন, আপনার মাথার অভ্যন্তরে কম্পন হচ্ছে

১০. দুই কানের ছিদ্রে বৃদ্ধাঙ্গুলি এমনভাবে ব্যালান্স করে রাখতে হবে যাতে আপনি সর্বোচ্চ পরিমাণ শব্দ ও ভাইব্রেশন অনুভব করতে পারেন
১১. এভাবে ২ থেকে ৫ মিনিট অনুশীলন করাই যথেষ্ট

১২. অনুশীলন শেষে চোখ বন্ধ রেখেই দুই হাত আস্তে আস্তে নামিয়ে নিন
১৩. দুই হাতের তালু পরস্পরের সঙ্গে কয়েকবার ঘষে তাপ উৎপন্ন করুন
১৪. এই তাপ মেখে নিন আপনার চোখে-মুখে, কাঁধে-গলায় ও সারা গায়ে
১৫. এবার মুখে স্মিত হাসি নিয়ে ধীরে ধীরে চোখ খুলুন।

ব্যস, হয়ে গেল আপনার ভ্রামরী প্রাণায়াম অনুশীলন। দেখবেন মস্তিষ্কে ও মনের মধ্যে দারুণ একটা স্বস্তি ও প্রশান্তি খেলে যাবে। এটা প্রতিদিনই করুন আর এর উপকারিতা নিজেই অনুভব করুন।

 
Electronic Paper