মণিরামপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
🕐 ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
যশোরের মণিরামপুরে ৩৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হায়াতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে এঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালে ভর্তি ধর্ষণের শিকার নারী খোলা কাগজকে জানান, তিনি আগে বৃদ্ধা মায়ের সাথে হায়াতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকতেন। বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর সাথে ভারতে চলে যান। সম্প্রতি স্বামীকে ভারতে রেখে তিনি মায়ের কাছে বেড়াতে আসেন। শনিবার রাত দুইটার দিকে বাইরে থেকে ঘরে ফিরছিলেন তিনি। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা ওই গ্রামের হাবিবুর ও তার এক সহযোগী জোর করে তাকে তুলে নিয়ে পাশের বাঁশ বাগানে ধর্ষণ করে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভোরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে ধর্ষণের বিষয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কেউ কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এমনকি ওই নারীর মাও এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেন নি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি ও বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ওই নারীর বৃদ্ধা মা এই প্রকল্পের বাসিন্দা। সে (সেই নারী) স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে ভারতে থাকেন। মাঝেমধ্যে সে গ্রামে আসে। দুই মাস আগে সে এখানে এসেছে। আব্দুর রাজ্জাক নামে তার এক দুলাভাইয়ের কাছে কিছু টাকা পেতো সে। কয়েকদিন আগে লোকজন ধরে সেই টাকা আদায় করে। টাকাটা হাতে পাওয়ার পর আবার সেই টাকা হাবিবুরকে দেয়। শনিবার বিকেলে যশোরে ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে (আক্রান্ত নারী)। এরপর রোববার সকালে পুলিশ আসলে আমরা এই বিষয়ে জানতে পারি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়েছি। প্রকল্পের কেউ এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, রোববার ভোর ৬টার দিকে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিজ উদ্যোগে চিকিৎসকরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। পুলিশ চাইলে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওই নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে। এই ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। ভিকটিমের স্বজনদের থানায় আসতে বলা হয়েছে।